গাড়ির টায়ারে রাবারের কাঁটা লাগানো কেন থাকে - এর কাজ কি
ভূমিকা
গাড়ির টায়ারে রাবারের কাঁটা লাগানো কেন থাকে - এর কাজ কি
সাধারণত টায়ার যখন কারখানায় তৈরি করা হয়, ঠিক তখন রাবারগুলি গলে যেয়ে কিছু বাতাসের সাথে বুদবুদ সৃষ্টি করে। এমতবস্থায়, প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায় এবং সেটাকে দুর্বল করে তুলতে পারে, এজন্যই টায়ারের রাবারের কাটাগুলি বসানো হয়।
তাছাড়াও টায়ারের মধ্যে রাবারের কাটা বসানোর একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। যখন যানবাহন রাস্তায় চলাফেরা করে তখন ঘর্ষণ শক্তির কারণে টায়ার খুব গরম হয়, যার ফলে রাবারের কাটা বাতাসের সাথে টায়ারের মধ্যে এক ধরনের যোগাযোগ এর জায়গা ছড়িয়ে পড়ে এবং ঠান্ডা থাকে।
আরো পড়ুনঃ ফাঙ্গাস রোগ কি - ফাঙ্গাস রোগের প্রতিকার
অনুরূপভাবে, গাড়ির পাশাপাশি বাইকের টায়ারেও একই ঘটনা ঘটে থাকে। টায়ার কিওর করার সময় কিছু জিনিসের প্রয়োজন পড়ে। তার মধ্যে টায়ার মোল্ড হচ্ছে অন্যতম। টায়ার মোল্ড এর কাজ হচ্ছে এটি দুইবার ততদি ক অংশে বিভক্ত করা যায় এবং গ্রীন টায়ারকে এর মধ্যে ঢুকে সেই অংশগুলোকে জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে ছাঁচটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
অপরটি হচ্ছে গ্রীন টায়ার।কারখানায় এটা তৈরির সময় ব্যবহৃত অংশ গুলোকে যেমন স্টিল বেল্ট, রাবার প্লাই, বিড ইত্যাদি কে একসাথে করে টায়ারের একটি পরিপূর্ণরূপ দেয়া হয়। বাতাস থেকে বের করে না দিলে এর মধ্যে কিছু ছিদ্র বা খুত তৈরি হয়। এজন্য বাতাসকে বের করার জন্য ছাঁচের মধ্যে কিছু কিছু সূক্ষ্ম ফোটা রাখা হয়। এগুলোকে সাধারণত স্প্রেউ হোল বা ভেন্ট স্প্রেুস বলে। এজন্য গাড়ির টায়ারের রাবারের কাঁটা লাগানো থাকে।
টায়ারের রং কালো হয় কেন
আরো পড়ুনঃ নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে
চাল, সয়াবিন ও পাইন দিয়ে তৈরি গাড়ির টায়ার
টায়ার প্রেসার কম অবস্থায় গাড়ি চালালে কি হতে পারে
গাড়ির টায়ার প্রেসার কত রাখা উচিত
গাড়ি টায়ারের ওপর নির্ভর করে গাড়ি এগিয়ে চলে। গাড়ির টায়ার প্রেসার কত রাখা উচিত আমাদেরকে জানতে হবে। এজন্য গাড়ির টায়ার প্রেসার কে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সবসময় চেষ্টা করবেন গাড়ির টায়ার প্রেসার সঠিক মাপে রাখার।
এক্ষেত্রে পেছনে এবং সামনে টায়ার প্রেসার কত পিএসআই রাখতে হবে সেটি বাইকের
পেছনের চাকার আশেপাশেই লেখা আছে। একটু কষ্ট করে খোঁজার চেষ্টা করলেই খুঁজে
পাবেন। প্রাইভেট কারের সামনে চাকার নির্দিষ্ট গাড়ির টায়ার প্রেসার ৩২
পি এস আই এবং পেছনের চাকার তার পেশার হচ্ছে ৩৫ পি এস আই।
দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির টায়ারের ৫টি কার্যকরী টিপস
- টায়ারের স্ফীতি পরীক্ষাঃ গাড়ির টায়ারের স্ফীতি সঠিকভাবে বজায় থাকলে গাড়ির কার্যক্ষমতার উন্নতি হয়। প্রতিমাসে অন্তত একবার হলেও টায়ারের স্ফীতি পরীক্ষা করুন। তবে এটি যেন ঠান্ডা অবস্থায় পরিমাপ করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ইনফ্লেটর কিটের মাধ্যমে টায়ারের স্ফীতি মাপা হয়।
- নিয়মিত টায়ারের ক্ষত পরীক্ষা করুনঃ বর্তমানে অতিরিক্ত রাস্তায় ধুলাবালি বা পাথরের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করে। যার ফলে অনেক সময় টায়ারের গায়ে ক্ষত হয়ে টায়ারের ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ সময় ব্রেক ফেইল বা টায়ার পাংচার হতে পারে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
- সঠিক ভারবহনকারী গাড়ির টায়ার ব্যবহার করুনঃ গাড়ির ভার বহন ক্ষমতা অনুযায়ী গাড়িতে টায়ার ব্যবহারও ভিন্ন ধরনের হতে পারে। আদর্শ ভাড়া বহনের গাড়িতে কম বেশি ভার বহনকারী টায়ার ব্যবহার করবেন না। আবার বেশি ভার বহনের গাড়িতে কম ভাবে টায়ার বহন করবেন না। তা নাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
- সঠিক থ্রেড ডেপথের টায়ার ব্যবহার করুনঃ গাড়ির টায়ারের সঠিক কার্যক্ষমতা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে টায়ারের থ্রেড ডেপথ ন্যূনতম ১.৬৬ মি/মি হতে হবে। যদি গাড়ির টায়ারের থ্রেড ডেপথ এর চেয়ে কম হয় তাহলে রাস্তায় বাক করতে গিয়ে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য সঠিক থ্রেড ডেপথের টায়ার ব্যবহার করতে হবে।
- পুরাতন টায়ার ব্যবহার করবেন নাঃ ভালো ও নিরাপত্তা ভাবে গাড়ি চালাইতে হলে গাড়ির চাকায় পুরাতন টায়ার ব্যবহার করা যাবে না। কারণ পুরাতন টায়ার সবসময় তার গুনাগুন ধরে রাখতে পারেনা এজন্য গাড়ির সুরক্ষার ক্ষেত্রে সব সময় চেষ্টা করতে হবে নতুন টায়ার ব্যবহার করার এবং পুরাতন টায়ার ব্যবহার পরিহার করা। নতুন টায়ার কেনার সময় অবশ্যই এর উৎপাদনের তারিখ দেখে নিবেন।
-
আশা করি, দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির টায়ারের এই পাঁচটি কাজ করি টিপস আপনার
অনেক কাজে দিবে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url