এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক হয়ে উঠেছে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকে একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক
হয়ে উঠেছে। এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক হয়ে উঠেছে এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ
আর্টিকেল টি পড়লে জানতে পারবেন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক
হয়ে উঠেছে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে
এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা
বর্তমানে এ আই কে ঘিরে যে আজ সংখ্যা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ,
সুযোগ ও ঝুঁকের বিষয়টি খতিয়ে দেখা এখন অনেক কঠিন হয় দাঁড়িয়েছে।
এমতবস্থায়, প্রযুক্তিবিদরা বলছেন বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত এবং অতীতের
প্রযুক্তির রূপান্তরের সময় থেকে আমাদের কিছু শিক্ষার নিয়োগ হবে। আর এ আই কে
আরো বেশি সক্ষম করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ বা পরিবর্তন আনতে হবে? এই দিনে
সরকারকে কি পদক্ষেপ নিতে হবে? কতটা ভয় পাওয়া উচিত? এই সকল প্রশ্নের উত্তর
দিয়ে চিরুনি অভিযান করতে হবে।
এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক হয়ে উঠছে
বর্তমানে এআই এর ক্ষমতা দেখে প্রায় পুরো বিশ্বের প্রযুক্তি বিষয়ক
নীতি-নির্ধারক নির্বাহীরা নির্বাসনে চড়ে বসেন। এর পুরোপুরি উদ্যোগ তৈরি
হয়েছে চ্যাটজিপিটি নামক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রচারণা। এক
ধরনের চ্যাটবট ভাষাভিত্তিক ক্ষেত্রে সকল তথ্যের বিশ্লেষণ করে প্রায়
সকল প্রশ্ন দিয়ে উত্তর দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অ্যানিমেশন শিখতে কি প্রয়োজন হয়
চ্যাটজিপিটির চ্যাটবট সাধারণত গান ও কবিতা বিভিন্ন ধরনের রচনা ছুটির আবেদনসহ ও
যেকোনো ধরনের রিপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তির বিষয়ে এক হাজারের বেশি
ব্যক্তি দের সবাইকে সতর্ক করে বলেন যে, গবেষণায় এর উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেয়া
হয় তাহলে মানবজাতি ও সমাজ উভয়ই এক বড় ধরনের ক্ষতি বা ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
AI সিদ্ধান্ত গ্রহণের সিস্টেমগুলি যেগুলি ঋণ অনুমোদন এবং নিয়োগের সুপারিশগুলি
অফার করে সেগুলি অ্যালগরিদমিক পক্ষপাতের ঝুঁকি বহন করে, যেহেতু তারা যে
প্রশিক্ষণ ডেটা এবং সিদ্ধান্তের মডেলগুলি চালায় তা দীর্ঘস্থায়ী সামাজিক
কুসংস্কার প্রতিফলিত করে৷
এ আই নিয়ে আমাদের কতটা ভয় পাওয়া উচিৎ
কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপান্তরিত করছে চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহৃত
ভাষার মডেলগুলি। এ আই সম্মিলিত সমর্থকদের যুক্তি হচ্ছে-এই প্রযুক্তি নিত্য নতুন
ওষুধ তৈরি করে বড় সমস্যা সমাধানের সাড়া দিচ্ছে। নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের
উপাদান তৈরি করছে, যাতে করে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে মোকাবেলা করতে পারে।
এক ধরনের জটিল ফিউশন শক্তি সমস্যা সমাধানের পথ মিলছে। তবে ভিন্ন মতামত
কারীদের অভাব নেই।
তাদের মতামত হচ্ছে, এই প্রযুক্তি নির্মাণ ক্ষমতাকে অপেক্ষা করে যাচ্ছে এ আই এর
ক্ষমতা। এমনকি মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা দেখছেন তারা। বেসরকারি সংস্কৃতিতে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ছয় মাস বন্ধ রাখার দাবি করা হয়। এতে ইলন
মাক্সের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি গবেষক ও বিজ্ঞানীরা একমত পোষন করেন। এআই
প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পেছনে জনগণ কতটা তৈরি করেছে তা সবচেয়ে বড়
উদাহরণ এটি।
এ আই কি মানুষের বিলুপ্তির কারণ হবে
প্রযুক্তি একসময় মানুষের চাকরির বিলুপ্তি ঘটাবে এই আশঙ্কা প্রাচীনকাল থেকে।
এখনো নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। মেশিন কিছু
কিছু কাজ পারে আবার কিছু কিছু কাজ পারে না। তবে মানুষের দ্বারা যে কাজ করা
সম্ভব নয় বা অনেক সময় সাপেক্ষ সেগুলো কাজ কম সময় অতি দ্রুত করার জন্য
প্রযুক্তি বা মেশিন ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও জন মেশিন যেগুলো কাজ করে না সেসব
ক্ষেত্রে কর্মীর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আরো পড়ুনঃ গুগল ম্যাপে মোবাইল লোকেশন বের করার উপায়
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন পদক্ষেপ এর দিকে পথ বাড়িয়েছে। কিছু চাকরির
ক্ষেত্রে হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে তবে এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল দেখা যায়নি। তবে,
এলএলএমএস কিছু দক্ষ শ্রমিকের কাজ কেড়ে নিতে পারে। করেন বিগত বছরের এ নিয়ে
একটি জরিপ চালানো হয় সেখানে ৫০ শতাংশ গবেষক মতামত দেন এআই খুব খারাপ প্রভাব
১০ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে। তবে ২৫ শতাংশ গবেষকরা মনে করে মানুষের অস্তিত্বের
জন্য এয়াই ঝুঁকি হতে পারে এমন হার নাকি শূন্য।
ভবিষ্যতে এআই এর নিজস্ব মুখ্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এই সকল উদ্দেশ্য
নির্মাণ নেতাদের চেয়ে আলাদা কিছু গড়ে উঠতে পারে। এইসব উদ্দেশ্যকে
একেবারেই এড়িয়ে চলা ঠিক হবে না। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ধরনের
উদ্দেশ্য কে সাধারণ করতে হলে বর্তমান প্রযুক্তি থেকে অনেক উন্নত হতে হবে এ আই
কে। এই প্রেক্ষিতেই এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে আলোচনা হতে শুরু করেছে।
এই পর্যায়ে এআই এখন বিভিন্ন উদ্যোগের অধিকার সম্পর্কে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে
এআই-এর প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে উদ্বেগও বাড়বে। আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার
সম্মুখীন বা সৃষ্টি হবে। মুখ্য বিষয় হচ্ছে ঝুঁক গুলোকে মূল্যায়ন করে এআইয়ের
প্রতিশ্রুতির ভারসাম্য বজায় রেখে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ
নিচ্ছে। যুক্তরাজ্যে একটি নীতিমালা পেশ করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী
এআইকে আইন কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
যুক্তরাজ্যের তো একইভাবে নীতিমালা পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমতবস্থায় তাদের
বিনিয়োগ বাড়তে থাকে এবং তারা এর ক্ষেত্রে নিজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সক্ষম
হবে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নীতিমালা গুলো কঠোর নয়। তবে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে এআইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কঠোর নীতির মালা আয়োজন করেছে। এর
ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন রূপে আইন করার বিষয় নিয়ে ভেবে আসছে বা বর্তমানে ভাবছে।
এ আই নিয়ে হঠাৎ কেন এতো আলোচনা
প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এ আই এর আলোচনা
ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এআই এর জ্যামিতিক তত্ত্ব অনেক আগে আবিষ্কৃত
হলেও এর বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন জন্য সঠিক মাপের পরিমাপক মডেলের অভাব ছিল। তবে
বিগত কয়েক বছরে কম্পিউটিং যে পাওয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি এই প্রযুক্তি সরল হয়ে
যাওয়ার কারণে এই খাতের বিশেষকরা নেতিবাচক দিক নিয়েও বেশ সতর্ক থাকতে
চাইছেন।
আরো পড়ুনঃ গাড়ির টায়ারে রাবারের কাঁটা লাগানো কেন থাকে
এ আই নিয়ে মিস্টার স্বপন বলেন, মানুষকে যেসব কাজ হাতে করতে হতো সে সব কাজ এক
সময় যেয়ে মেশিনের হাতে চলে যাবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় এর প্রতিস্থাপনও
হয়ে গেছে। যার ফলে দুটি আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথম আশঙ্কা হচ্ছে মানুষের
কাজ হারানোর ভয় এবং দ্বিতীয় অসংখ্য হচ্ছে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার। এ আই এর
কারনে একসময় যেয়ে সে দেশে-দেশে, সমাজে-সমাজে এবং মানুষে-মানুষে এক ধরনের
বিভাজন সৃষ্টি হবে দিনের পর দিন বেড়েই যাবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প কিছু হলেও এই
সকল বিষয়ে জানতে সক্ষম হয়েছেন। এ আই কি মানুষের জন্যে বিপদজনক হয়ে উঠেছে? এই
বিষয়ে নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে
ভুলবেন না। স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url