ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে - ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। বর্তমানে ড্রাগন ফল চাষাবাদে খুবই লাভজনক একটি অর্থকারী ফসল। অনেকেরই ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। তাই আজকের আর্টিকেলে জেনে নিব ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করি, এটি জেনে আপনি উপকৃত হবেন।
ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন, তাহলে ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে - ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

ড্রাগন ফল হচ্ছে রসালো ফল এবং এতে ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ রয়েছে। বর্তমানে ড্রাগন ফল আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে এই ফলের চাষাবাদ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ড্রাগন ফল সাধারণত একটি বিদেশি ফল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এর চাষাবাদ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ড্রাগন ফল সাধারণত ইসরাইল, শ্রীলঙ্কা , ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে খুবই প্রচলিত বা জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফল এসব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে চাষাবাদ হয়ে থাকে। সেইসব দেশের বাজারে ড্রাগন ফল প্রায় ৮৫০ থেকে.১০৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়ে থাকে।

বর্তমানে ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে চাষীদের জন্য খুবই অর্থবোধক ফসল। এই ফল সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে বিপুল পরিমাণ লাভজনক হওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে প্রগতিশীল চাষিরা এই ফলের চাষাবাদ শুরু করেছেন। তবে খুব স্বল্প পরিমাণ কৃষক এই সম্পর্কে জানেন। এজন্য, আজকের আর্টিকেলে ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিব সকল ধরনের তথ্য।

ড্রাগন ফল কয় ধরনের হয়

ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Hylocereus undatus (হ্যালোসেরেউস উন্দাটুস)। ড্রাগন ফল চাষাবাদ এর পূর্বে ড্রাগন ফল কয় ধরনের বা প্রজাতির জেনে নেই। ড্রাগন ফল সাধারণত তিন ধরনের হয়-
  • প্রথমটি কোস্টারিকা ড্রাগন। এর শ্বাস এবং খোসা উভয়ে লাল রঙের হয়।
  • দ্বিতীয়টি পিটাইয়া, লাল ড্রাগন ফল। এর সাদা এবং খোসার রং লাল। এই ধরনের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায়।
  • তৃতীয়টি হলুদ রঙের ড্রাগন। এ ধরনের ড্রাগন ফলের শ্বাস সাদা এবং খোসা হলুদ রঙের হয়।
তবে, বাংলাদেশের অবমুক্তায়িত জাত হচ্ছে বাউ ড্রাগন ফল - ১, বাউ ড্রাগন ফল-২,বাউ ড্রাগন ফল - ৩ এবং বাউ ড্রাগন ফল-৪।

ড্রাগন ফল দিয়ে কি কি তৈরি হয়

বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাহিদা এবং দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকেরা এটি চাষ করে বেশ লাভজনক হচ্ছেন। সাধারণত ড্রাগন ফল থেকে জেলি, আইসক্রিম, জুস, জ্যাম ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হয়। বর্তমান বাজারে এসব খাদ্যদ্রব্যের চাহিদাও অনেক বেশি। এছাড়া ড্রাগন ফলের মধ্যে কিউইয়ের মত প্রচুর পরিমাণে অসংখ্যক বীজ পাওয়া যায়।

ড্রাগন ফল চাষ করার উপযুক্ত জলবায়ু

ড্রাগন ফল হচ্ছে আর্দ্র ও উষ্ণ জলবায়ুর উদ্ভিদ। বাংলাদেশে এখন ড্রাগন ফলের চাষাবাদ বিপুল পরিমাণে হয়ে থাকে। ড্রাগন ফল চাষাবাদ এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন অর্থাৎ কম তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এই ফল চাষাবাদে উপকারী। আশা করি ড্রাগন ফল চাষ করা উপযুক্ত জলবায়ু অর্থাৎ সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত হলে উপকারী সেটি বুঝতে পেরেছেন।

ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময়

ড্রাগন ফল চাষ করার পূর্বে এই ফলের উপযুক্ত সময়ও জেনে নেওয়া জরুরী। সাধারণত, ড্রাগন ফল সারা বছরেই চাষাবাদ করা যায়। ড্রাগন ফলের চারা প্রায় সব ঋতুতেই রোপন করতে পারেন কেননা এটি একটি শক্ত প্রজাতির গাছ। তবে ছাদ বাগানের ড্রাগন ফল চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেতে হলে এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করলে আপনি অবশ্যই ভালো ফলন পাবেন। আশা করি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ড্রাগন ফল চাষাবাদে প্রয়োজনীয় মাটি

ড্রাগন ফল চাষাবাদের উপযুক্ত জলবায়ু ও উপযুক্ত সময়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বা উপযুক্ত মাটিও জরুরি। কেননা আপনি যদি উপযুক্ত বা প্রয়োজনীয় মাটি ছাড়াই ড্রাগন ফল উপযুক্ত সময় ও উপযুক্ত জলবায়ু লক্ষ্য রেখে এর চারা রোপণ করেন তাহলে ভালো ফলন পাবেন না। এজন্য ড্রাগন ফল চাষাবাদ এর প্রয়োজন মাটি অত্যন্ত জরুরী।

ড্রাগন ফল চাষাবাদ পিএইচ (PH) এর মাত্রা হতে হবে ৭ PH থেকে ৮ PH সম্পন্ন মাটি। পানিবদ্ধ এলাকায় ড্রাগন ফল চাষাবাদ না করাই উচিত। ড্রাগন ফল যেই স্থানে চাষ করা হোক না কেন সেই স্থানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে সেখানে যেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অবশ্যই থাকে।

ড্রাগন ফল চাষ করার পদ্ধতি

ড্রাগন ফলের চারা রোপনের পূর্বের ১.৫ মিঃ/১.৫ মিঃ/১ মিঃ আকারের গর্ত করে রোদে খোলা অবস্থায় রাখতে হবে। গর্ত তৈরীর মোটামুটি ২০ দিন পরে প্রতিটা গর্তে ৫০ গ্রাম জিংক, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি এবং ২৫ কেজি পচা গোবর গর্তের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত পরিপূর্ণ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দেওয়া জরুরী।
এরপর, গর্তটি ভরাটের ১৫ থেকে ২০ দিন পরে প্রতিটা গর্তে পঞ্চাশ সেন্টিমিটার দূরত্বে ৪টি করে চারা মাঝখান বরাবর লাগাতে হবে। চারা রোপনের ঠিক ১ মাস পর থেকে ১ বছর পর্যন্ত প্রতিটা গর্তে ৩ মাস পরপর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া দিতে হবে। গাছটি ২ থেকে ৩ মিটার লম্বা হওয়াতে এর সাপোর্টের জন্য চারার মাঝে একটি সিমেন্টের ৪ মিটার লম্বা খুঁটি পড়তে হবে। কারণ ফল ঝুলন্ত অবস্থায় ফল বেশি হয়।

সেচ ব্যবস্থাপনা: ড্রাগন ফল পানি বদ্ধতা বা খরা সহ্য করতে পারেনা। এজন্য খরা মৌসুমে ১২ থেকে ১৬ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। এছাড়াও ফুল ফোটা অবস্থায় একবার, ফল মটর দানা  অবস্থায় একবার এবং ১৪ দিন পর আবার শেষ দিতে হবে।

স্যার প্রয়োগ: গাছের বয়স যখন ১ থেকে ৩ বছর তখন ৪০ থেকে ৫০ কেজি কবর সার, এমওপি ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২৫০ গ্রাম এবং ইউরিয়া ৩০০ গ্রাম একসাথে মিশিয়ে দিতে হবে। গাছের বয়স যখন ৩ থেকে ৬ বছর তখন ৫০ - ৬০ কেজি গোবর সার, এমওপি ৩০০ গ্রাম, টিএসপি ৩০০ গ্রাম এবং ইউরিয়ার ৩০০ গ্রাম মিশিয়ে দিতে হয়। গাছের বয়স ১০ বছরের বেশি হলে মাদার প্রতি ৭০ - ৮০ কেজি গোবর সার, এমওপি, টিএসপি এবং ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম করে দিতে হবে।

বালাই ব্যবস্থাপনা: বালায় ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করলে গাছে রোগ খুব একটা চোখে পড়ে না। গাছের গোড়ায় যদি অতিরিক্ত পানিবদ্ধ হয়ে যায় তাহলে মূল পচে যায়। এজন্য উঁচু জমিতে এই ফলের চাষ করা উত্তম। এছাড়াও পানিবদ্ধ সৃষ্টি হওয়ার ফলে গাছের মূলে ছাত্ররা অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গোড়া পচা রোগ হতে পারে। এই রোগ থেকে পরিশ্রম পেতে যেকোনো ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

ফল সংগ্রহ: ড্রাগন ফল চারা রোপনের পর এক থেকে দেড় বছর বয়সের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল যখন সম্পন্ন লাল ধারণ করবে তখন সংগ্রহ করা যায়। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয় হচ্ছে গাছে ফুল ফোটা ৩০ - ৩৫ দিনের মধ্যে।

ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে

ড্রাগন ফল টবে চাষ করতে ভালো মাটি হিসেবে দোআঁশ মাটি বাছাই করবেন এবং এটি মোটামুটি শক্ত প্রজাতির গাছ হওয়ার প্রায় সব ঋতুতে চারা রোপন করা যায়। ড্রাগন ফল চাষাবাদ এর উত্তম সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস। এই মাসের মধ্যে চারা রোপন করলে অবশ্যই ভালো ফলন পাবেন।
ছাদে চাষাবাদের উপযোগী পাত্র: আপনার ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষাবাদ এর জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে যদি আপনি ২৫ ইঞ্চি আকারের একটি ড্রাম বেছে  নিন। কেননা এই আকারের ড্রামে চারা গুলোর শিকড় ভালোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে পারবে এর ফলে ভালো ফল হবে।

টবে চারা রোপন পদ্ধতি: টবে চারা রোপন পদ্ধতিতে প্রথমে আপনাকে দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর পরিমাণ মতো গোবর, ৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ৫০ গ্রাম পটাশ সার ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এখন আপনার বাছাইকৃত ড্রামে সকল উপকরণগুলো দুই সপ্তাহের মতো রেখে দিন।

তারপরে ড্রামের মাটি গুলো একটি খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে ঝড়ঝড়া করে আরো পাঁচ দিনের মতো রেখে দিতে হবে। রেখে দেওয়া মাটি কিছুটা শুষ্ক হয়ে গেলে ভালো জাতের একটি কাটিং চারা ড্রামে রোপন করে ফেলুন।

সেচ ও পরিচর্যা: ড্রাগন ফল গাছের খুব বেশি রোগ বালাই দেখা যায় না। তারপরও ফল গাছের যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করেন তাহলে ফলন ভালো হবে না। এজন্য, নিয়মিত কিছু পারিপার্শ্বিক যত্ন নিতে হয়। যারা লাগানো গ্রামটি অবশ্যই আলো বাতাস সম্পন্ন স্থানে রাখতে হবে। গাছে পানির সেচ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে।

টপ বা ড্রামের ভেতরের পানি যাতে সহজে বের হয়ে যেতে পারে এজন্য গ্রামের নিচের দিকে ৩ থেকে ৪টি ছিদ্র করে দিতে হবে অবশ্যই মাটি ভরাট করার আগে। ড্রাগন গাছ শক্তিশালী হওয়ায় এর ডালপালা যাতে সহজে ঢোলে না পড়ে সেজন্য গাছ বৃদ্ধির সাথে সাথে সিমেন্টর তৈরি খুঁটি বেঁধে দিতে হবে। 

এইভাবে সবকিছু খেয়াল রেখে গাছের ঠিকভাবে সেচ ও পরিচর্যা করলে ১ বছর থেকে ১৮ মাস বয়সে ফল সংগ্রহ করা যাবে এবং গাছের ফুল ফোটার ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়।

ড্রাগন ফল চাষাবাদে কেমন খরচ ও আয় হয়

কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে একটি ড্রাগন গাছ প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। একটি ড্রাগন গাছ দাঁড় করাতে একর প্রতি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এক এক করে প্রতি ১০ ফুট দূরত্বে খুঁটি গাদতে হবে।

এরপর সামর্থ অনুযায়ী চারা রোপন করতে হবে।প্রতি এ করে প্রায় ১৮০০ টির মত গাছ প্রয়োজন হয়। ড্রাগন ফল চাষ করার সময় অনেক পরিমাণে খরচ হওয়ার পর সঠিক পরিচর্যা করলে এটি ২০-২৫ বছর পর্যন্ত ফল ধরবে।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায়, সঠিক নিয়মে ড্রাগন ফল চাষাবাদ করলে এর ভালো ফলাফল অবশ্যই সহজেই পাওয়া যায়। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প কিছু হলেও ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন।যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

ড্রাগন ফল টবে চাষ করবেন যেভাবে -  ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও আপনার পরিচিতদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url