কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা - কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি, সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - যেসব
কারণে খাবেন কাঠবাদাম এই বিষয়টি জেনে আপনি উপকৃত হবেন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা - কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
খাদ্য তালিকায় কাঠবাদাম সচেতন মানুষদের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম আদর্শ খাবার। কাঠ
বাদামে অধিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ তাই এই খাদ্যটি টি প্রায় সকল মানুষেরাই
পছন্দ করে থাকে। যতগুলো ড্রাই ফুড রয়েছে তার মধ্যে কাঠবাদাম এর পুষ্টিগুণ অনেক
বেশি। এটি খেতে সুস্বাদু আবার এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে।
আবার কেউ যদি প্রয়োজনে চেয়ে অতিমাত্রায় এটি খেয়ে ফেলেন তাহলে ক্ষতি হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আজকে আপনাকে জানাবো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা, কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিকসহ অন্যান্য কিছু
তথ্য। আমার বিশ্বাস, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে এই সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত ধারণা
হয়ে যাবে।
কাঠবাদাম কি
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়ার আগে চলুন কাঠ বাদাম কি সে
বিষয়ে এক পলক দেখে নেই। কাঠবাদাম বা Almond হচ্ছে টিয়ার ড্রপ আকৃতির এক
প্রকারের বীজ যেটি গাছের ফল এবং কাঠের মত একটি খোলসের আবরণে আবদ্ধ থাকে। আর সেই
খোলসে ভেতরে থাকে কাঠবাদামের অংশটি।
এই কাঠবাদাম গাছ নিরক্ষীয় অঞ্চলে জন্মানো Combretaceae পরিবার সমৃদ্ধ একটি
বৃক্ষ। কাঠবাদাম কে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- জানমান্দি
, বেঙ্গল আখরোট, মালাবার আখরোট, নিরক্ষীয় আক্রান্ত এবং ছাতা গাছ।
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ
যতগুলো ড্রাই ফুড রয়েছে তার মধ্যে কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ডি যা মানবদেহে বিভিন্নভাবে
উপকারে আসে। এছাড়াও এতে রয়েছে ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস,
পটাশিয়াম, সেলোনিয়াম, কপার ও ক্যালসিয়াম।
আমাদের শরীরের জন্য এ সকল খনিজ পদার্থ অনেক উপকারী। এ বিষয়টা আমরা সকলেই জানি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি প্রতিদিন এক মুঠো কাঠ বাদাম খান তাহলে আপনার
শরীরের জন্য এটি অনেক কার্যকরী একটি খাদ্য উপাদান। প্রতি ৫০ গ্রাম কাঠ বাদামে
রয়েছে-
- ফ্যাট (২৫ গ্রাম)
- এনার্জি (২৮৫.৫ ক্যালোরি)
- আয়রন (১.৯৩ মিলিগ্রাম)
- কার্বোহাইড্রেট (২১.৪৩ গ্রাম)
- ফাইবার (৫.৩৫ গ্রাম)
- ভিটামিন বি (০.৪৫৫ মিলিগ্রাম)
- কপার (০.৫৩৫ মিলিগ্রাম)
- প্রোটিন (১০.৭১৫ গ্রাম)
- ম্যাগনেসিয়াম (১৪৩মিলিগ্রাম)
- পটাশিয়াম (৩৫৭ মিলিগ্রাম)
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাঠবাদামের অধিক পরিমাণ সমৃদ্ধ পুষ্টি অবশ্যই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে। মিনারেল ও ভিটামিন আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে
যা কাঠবাদামে রয়েছে। এজন্য বলা যায় প্রকৃতপক্ষে সুস্থ থাকতে হলে কাঠবাদাম
খাওয়া অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন এর উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখা: কাঠবাদামে রয়েছে মিনারেল ও ভিটামিন যা
আমাদের দেহের হৃদপিণ্ড বা হার্ট কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কাঠবাদামে থাকা
ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং
প্রোটিন হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এজন্য হার্ট
অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: কাঠবাদামের রয়েছে অধিক পরিমাণে ফাইবার ও
অল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেট। যার ফলে, আপনি যদি নিয়মিত কাঠবাদাম খেতে পারেন
তাহলে রক্তে শর্করার উৎপাদন কমে যায় এবং ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ হয়।
গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী: গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধির জন্য
কাঠবাদাম অনেক উপকারী। কারণ, কাঠবাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড ও
ভিটামিন বি যা গর্ভাবস্থার শিশুর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে গর্ভস্থ শিশুর
জন্মের সময় বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করনে: কাঠ বাদামে ভিটামিন বি সহ আরো
অন্যান্য ভিটামিন এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এগুলো মানবদেহের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: আমরা জানি, সাধারণত ফাইবার প্রোটিন এবং ফ্যাট
সমুদ্র কাঠবাদাম খেলে ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়। আপনি যদি, প্রতিদিন ৫০ গ্রাম
কাঠবাদাম খেতে পারেন তাহলে তার হৃদরোগে ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি
কমিয়ে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
প্রদাহ কমাতে: কাঠবাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও
লিনোলিয়েক এসিড যা শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে: কাঠবাদামে রয়েছে ফাইবার যেটি কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত এই উপকারী কাঠবাদাম খেতে পারেন
তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন। তবে ভালোভাবে পরিপাক
হওয়ার জন্য কাঠবাদাম খাওয়ার সাথে অধিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: ৫০ গ্রাম কাঠবাদামে ২৫ গ্রাম ফ্যাট
থাকার ফলে প্রায় অনেকেরই ধারণা যে বাদাম খেলে শরীরের ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে
যায়। কিন্তু এই ২৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ১৫ গ্রামই রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড
ফ্যাটি এসিড যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এই এসিড রক্তের খারাপ
কোলেস্টেরল মাত্রা হ্রাস এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।
কাঠবাদাম খাওয়ার অপকারিতা
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতার কথা ভেবে আমরা অনেকেই অধিক পরিমাণে কাঠবাদাম
খেয়ে থাকি। কিন্তু অতিমাত্রায় কাঠবাদাম খেলে যে শরীরে এক ধরনের প্রভাব
ফেলবে সেই কথা কি একবার চিন্তা করেছেন? খাওয়ার উপকারিতা থাকার পাশাপাশি
এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই, যে কাঠবাদাম বেশি
পরিমাণে খেলে কি সমস্যা ফেলতে পারে।
- কাঠবাদাম প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেললে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কাঠবাদাম পরিমাণ মত খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে কিন্তু অধিক পরিমাণে কাঠবাদাম খেলে উচ্চমাত্রা প্রোটিন আমাদের দেহের প্রয়োজন বৃদ্ধির পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অধিক মাত্রায় কাঠবাদাম খেলে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা রয়েছে।
- যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কাঠবাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকার ফলে অতিমাত্রায় এটি খেলে অনেক সময় ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি ঘটতে পারে।
- কাঠবাদামে একটি টেনিন নামক উপাদান রয়েছে যা দেহের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- যেসব ব্যক্তি ভিটামিন এ জাতীয় সাপ্লিমেন্ট খায় তাদের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম খেলে শরীরের ভিটামিন ই ওভারডোজ হয়ে যেতে পারে। যার ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
- বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের কাঠবাদাম না খাওয়াই উত্তম কারণ এতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম কিডনি রোগীর উপর বেশ ক্ষতিকারক।
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
আমরা জানি, কাঠবাদাম সাধারণত শুকনো, ভেজে এবং পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া যায়।
চিকিৎসকের মতে, আপনি যদি কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে খান তাহলে সবচেয়ে বেশি
উপকার হবে। এর এনজাইমগুলো পানিতে ভিজে রাখার পরে সক্রিয়তা লাভ করে
থাকে। কাঠবাদাম ভেজে খেলে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি নষ্ট হয়ে
যায় এজন্য কাঠ বাদাম কাঁচা বা ভিজিয়ে খাওয়া ভালো।
আরো পড়ুন ঃ
ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে বেশ নরম হয়ে যায়, যা আমাদের মানবদেহের পাকস্থলী
সহজে হজম করতে সক্ষম হয়। এটি ভিজিয়ে রাখার পরে এর ওপরে আস্তরণ ফেলে
খেলে ক্ষতিকর আস্তরণটি বের হয়ে যায়।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাবার ক্ষেত্রে প্রথম একটি পাত্রে
একমুঠো কাঠ বাদাম নিয়ে তাতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা রেখে
দিন। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আপনার
সারাদিনের জন্য শরীরের শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও কাঠবাদাম অন্যান্য খাবারের সাথেও খাওয়া যায় যেমন- ভালো আসে নাই
পায়ের ইত্যাদি খাবারগুলোতে সাধারণত আমরা কাঠ বাদামের কুচি করে সেসব
খাবারগুলোতে পরিবেশন করি। তবে আপনি যদি গরুর দুধের সাথে কাঠবাদাম খেতে পারেন
তাহলে, এটি আপনার মানবদেহে জন্য অনেক উপকারী খাদ্য উপাদান হিসেবে কাজ করবে।
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত সেটি নির্ভর করবে আপনি আসলে কি
উদ্দেশ্যে কাঠবাদাম খাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, কেউ যদি ওজন বাড়ানোর
উদ্দেশ্যে কাঠ বাদাম খেয়ে থাকে তাহলে সকাল থেকে শুরু করে সারাদিনে ৩০ থেকে
৩৫টির মতো কাঠবাদাম খাওয়া উচিত।
অনুরূপভাবে, আপনি যদি ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে খেয়ে থাকেন তাহলে ভেজানো
কাঠবাদাম দুধের সাথে.৪ থেকে ৫ কাঠবাদাম খাওয়া উত্তম।
কাঠ বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাঠবাদাম বিশেষ করে এজমা বা শ্বাসকষ্ট যাদের রয়েছে যেমন ছোট বাচ্চা এবং
বয়স্কদের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম খাওয়ার উপর বেশ সর্তকতা জারি রাখতে হবে। আবার
যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মানবদেহে ফোলা ফোলা ভাব
শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং শহীদের তীব্র চুলকানি দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে
যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কাঠবাদাম অতিমাত্রায় খাওয়ার ফলে যেসব সমস্যা বা ক্ষতিকর দিক দেখা দিতে
পারে সেগুলো হচ্ছে-
- বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে
- ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- ওজন বৃদ্ধি হতে পারে
- কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- এলার্জির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে
- খাবার গিলতে অসুবিধা দেখা দেয়
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, পরিশেষে বলা যায় সঠিক নিয়মে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে কাঠবাদামের
উপকারিতা সহজেই পাওয়া যায়। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প
কিছু হলেও কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা এবং কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
জানতে সক্ষম হয়েছেন। যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে
তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম নিয়ে লেখা
আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট
করুন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url