প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম - প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্যারাসিটামল অনেক আগে থেকেই একটি ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে পরিচিত। আমরা সাধারণত
কোন প্রকার ব্যথা পেলেই ফার্মেসি থেকে প্যারাসিটামল কিনে খেয়ে ফেলি। কিন্তু আমরা
অনেকেই প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাবার নিয়ম এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জানিনা। এজন্য, আজকের আর্টিকেলে প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাবার নিয়ম এবং
প্যারাসিটামল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্যগুলো আলোচনা করবো আশা করছি, আপনারা
জেনে উপকৃত হবেন।
প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম এবং প্যারাসিটামল এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। তাহলে চলুন, প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম এবং- প্যারাসিটামল
এর যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃভূমিকা
প্যারাসিটামল ওষুধটি সকলের কাছেই পরিচিত। এটি অন্যান্য ব্যাথানাশক ওষুধগুলোর
সাথে মিশ্রিত অবস্থাতেও পাওয়া যায়। এই ওষুধটি সাধারণত ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন
ও সাপোজিটরি হিসেবে ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যায়। প্যারাসিটামল মাথাব্যথা,
দাঁতে ব্যথা, গলা ব্যথা, সাইনাসের ব্যথা, অপারেশন পরবর্তী ব্যথা ইত্যাদি হলে
ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও, প্যারাসিটামল সর্দি কাশি ও কফ এর চিকিৎসায় বিভিন্ন ওষুধের
উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তবে প্যারাসিটামল ব্যাথার চিকিৎসা করে না বরং
এটি ব্যথার অনুভূতিটা কমিয়ে দেয় এজন্য এটি ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে পরিচিত।
আমরা প্যারাসিটামল এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিলাম। এবার চলুন,
প্যারাসিটামলের আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্যগুলি জেনে নেই।
প্যারাসিটামল কি
প্যারাসিটামল হচ্ছে একটি অ্যান্টিপাইরেটিক ও বেদনানাশক জাতীয় ঔষধ যা আমরা সাধারণত
ব্যথার জন্য ব্যবহার করে থাকি। এটি সচরাচর ব্যথা ও জ্বর উপশমে সেবন করা হয়ে
থাকে। তবে এতে প্রদাহ বিরোধী বলে কোনো প্রকার বৈশিষ্ট্য
নেই। প্যারাসিটামল ১৮৭৭ সালে আবিষ্কার হয়েছে। এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং নাম
এবং বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামে প্যারাসিটামল উৎপাদন
করে বাজারজাত করে থাকে।
এই ওষুধ ফার্মেসি ছাড়াও অন্যান্য সুপার মার্কেটগুলোতেও সহজেই পাওয়া যায়।
প্যারাসিটামল বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে তৈরি করে থাকে। এটিকে "ওভার দি
কাউন্টার মেডিসিন" অর্থাৎ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ব্যতীত এটি কিনতে পাওয়া যায়।
এতে অত্যাধিক গ্রহণ করা খুব সহজ কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
প্যারাসিটামল কীভাবে কাজ করে?
প্যারাসিটামল প্রায় কয়েক যুগ সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আসলে কিভাবে
কাজ করে সেটি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা যায় না। প্যারাসিটামল ওষুধ সাধারণত
ব্যথা কমাতে শুরু করে এবং প্রথম ডোজ নেওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা পরে ব্যথার উচ্চ
মাত্রা কমিয়ে দেয়।
আবার এর প্রভাব প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে প্রথম আলোর এক
প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইমা ইসলাম বলেন এর প্রভাব ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত
স্থায়ী হয়। তিনি আরো বলেন, একটি মস্তিষ্কের মধ্যে এনজাইমের কার্যকলাপগুলোকে
বাধা প্রদান করে যা জ্বর ও ব্যাথার চিকিৎসায় অনুমতি দেয়।
প্যারাসিটামল পেতে গিয়ে ক্ষুদ্রান্ত করতে রক্তের পুষ্টি উপাদান গুলো
স্থানান্তর করার সময় এটি দ্রবীভূত হয়ে যায়। দ্রবীভূত প্যারাসিটামল রক্ত
ছড়িয়ে পড়ে কোন ব্যথা ক্ষত বা অন্য কোন স্থানে যে ত্রুটি রয়েছে সেখানে
ক্রিয়াশীল হয় যা প্রোস্টাগ্লান্ডিনের সাথে পরিপক্ষভাবে নিষ্ক্রিয় করে
ব্যথা ও জ্বর দূর করে।
প্যারাসিটামল যারা সেবন করতে পারবেন
প্রিয় পাঠক চলুন, প্যারাসিটামল যারা সেবন করতে পারবেন এই সম্পর্কে জেনে নেই।
প্যারাসিটামল প্রায় সকলেই নিরাপদে সেবন করতে পারে। এমনকি গর্ভকালীন সময়েও
প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু কারো কারো জন্য প্যারাসিটামল ল খাওয়ার
পূর্বে কিছু সতর্কতা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্যারাসিটামল সেবনে
যেসব ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন সেগুলো হচ্ছে-
- আপনার কিডনি জনিত সমস্যা থাকলে
- টিবি বা যক্ষা রোগের জন্য ওষুধের ডোজ চালু থাকলে
- খিচুনি রোগের ঔষধের ডোজ চালু থাকলে
- তামাক অথবা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে
- পূর্বে কোন মেডিসিনের এলার্জিক প্রভাব হয়ে থাকে ইত্যাদি।
প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম জেনে না থাকেন তাহলে এই
পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা প্যারাসিটামল
ভরাপেটে সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে খালি
পেটেও প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রতি
ডোজে ৫০০ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেট খাওয়ার এর পরামর্শ দিয়ে থাকে।
প্রতি এক ডোজ প্যারাসিটামল সেবন করার পরে পরবর্তী সেবন করার মাঝে মিনিমাম ৪
ঘন্টা গ্যাপ থাকতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিমাত্রায় সেবন করলে ক্ষতি
হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এজন্য আপনি দিনে কতবার দিনে কতটি খাচ্ছেন এই
বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
আবার এক দিনে ৪টি ডোজের বেশি গ্রহণ করা যাবে না। চিকিৎসক অথবা
ফার্মেসিস্ট আপনাকে যেভাবে পরামর্শ দেবে সেই অনুযায়ী
প্যারাসিটামল গ্রহণ করবেন। আপনার সিমটমগুলি অর্থাৎ লক্ষণগুলো খুব উন্নতি
না হলে আপনার সেবা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
আপনি যদি ভুলবশত একটি বা দুটি ট্যাবলেট বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে সাধারণভাবে
কোন ক্ষতি হয় না। যদি না, ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বমোট আত্মের বেশি ট্যাবলেট
খাওয়া না হয়। তবে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়ার ফলে মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি
তৈরি হয় এবং জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে। আপনি প্রয়োজনে
১৬২৬৩ এই নাম্বারে যোগাযোগ করে সঠিক পরামর্শ নিতে পারেন।
প্যারাসিটামল সেবন করতে ভুলে গেলে করণীয় কি?
আমরা অনেকেই আছি যাদের প্যারাসিটামল প্রতিনিয়ত সেবন করতে হয়। অনেক সময়
আমরা সময় এক ডোজ অথবা ২ ডোজ পর্যন্ত সেবন করতে ভুলে যায়। এখন প্রশ্ন
হচ্ছে ভুলে গেলে করণীয় কি? আপনার যদি নিয়মিত এটি সেবন করতে হয় আর যদি আপনি
কোন কারনে একটি ডোজ ভুলে যান তাহলে, আপনার যখনই মনে পড়বে সেই তৎক্ষণাৎভাবে
সেই ডোজটি সেবন করে নিবেন।
তবে আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যেহেতু এর কথা ভুলে
গিয়েছেন সেই ডোজের কথা আপনার যদি এমন সময় মনে পড়ে তখন পরবর্তী সময় চলে
এসেছে তাহলে সে ভুলে যাওয়া ডোজটি আর গ্রহণ করবেন না। তখন ভুলে যাওয়া
ডোজটি পূরণ করতে গিয়ে আপনার দ্বিগুণ ডোজ হয়ে যাবে যা
ক্ষতিকারক।
যারা নিয়মিত ওষুধের ডোজ খেতে ভুলে যায় তাদের জন্য আমি একটি ট্রিকস
জানিয়ে দিচ্ছি আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে। ওষুধ সেবনের প্রতিটা
ডোজের সময়কাল আপনি মোবাইল অথবা ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রাখতে
পারেন। আবার পরিবারের মধ্যে আপনার যাকে দায়িত্বশীল মনে হবে তাকে আপনি ওষুধ
সেবনের কথা মনে করে দেওয়ার জন্য বলে রাখতে পারেন।
প্যারাসিটামল কাজ না করলে কী করণীয়?
আমরা প্রায় সকলেই প্যারাসিটামল ব্যথানাশক হিসেবে সেবন করে
থাকি। কিন্তু, প্যারাসিটামল সেবনে কারো উন্নতি হয় আবার কারো
উন্নতি হয় না। তাহলে এখন আপনাদের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে যে
প্যারাসিটামল কাজ না করলে কী করণীয়? প্রকৃতপক্ষে প্যারাসিটামল কাজ না
করলে অন্য যেকোনো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যায় যেমন আইবুপ্রোবেন।
কিছু ব্যথানাশক ঔষধ রয়েছে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কিনতে পাওয়া যায় না।
এসব অসভ্য অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শক্তি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও
ফিজিওথেরাপি ও ব্যায়ামের সাহায্যে রোগীর জন্য অধিক কার্যকরী হতে পারে। তবে
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি এই বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেন,
তাহলে আপনি উপযুক্ত পদ্ধতিতে বেছে নিতে পারবেন।
প্যারাসিটামল কি আইবুপ্রোফেনের চেয়ে বেশি কার্যকর?
সাধারণত শরীরের ব্যথার উপর নির্ভর করে উপযুক্ত ব্যথার ওষুধ বাছাই করা হয়ে
থাকে। আইবুপ্রোফেন ও প্যারাসিটামল ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাজ করে। তবে কিছু ব্যথা
উপশমের জন্য আইবুপ্রোফেন এর চেয়ে প্যারাসিটামল বেশি কার্যকর হিসেবে রচিত।
যেমন চিকিৎসকরা পেটে ব্যথা ও মাথাব্যথা সহ বেশিরভাগ ব্যাথার চিকিৎসায়
প্যারাসিটামলকে সবসময় বিবেচনা করে থাকে।
অপরদিকে আইবুপ্রোফেন পিরিয়ডের ব্যথা অথবা দাঁতের ব্যথায় তুলনামূলক
ভালো কাজ করে। কেউ কেউ আবার কোমরের ব্যথায় আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করে
প্যারাসিটামলের চেয়ে বেশি উপকার পেয়ে থাকে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কোন কিছু খাওয়ার পরে যে বিপরীত অন্য
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রতিটা ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে
শুধু পার্থক্য এক জায়গায় সেটা হচ্ছে, কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কম আবার কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি। তবে বিশেষ কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি দেখা দেয় অথবা অস্বাভাবিক কিছু যদি খেয়াল করে
থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন বা পরামর্শ নিতে হবে।
প্যারাসিটামল অতিরিক্ত সেবনের ফলে বা ওভারডোজ হয়ে গেলে কিডনি ও লিভারের
ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা এবং তাদের
সুপারিশগুলো মেনে চলা জরুরী। প্যারাসিটামল যেহেতু “Over the counter”
ওষুধের আধিক্য পেয়ে থাকে সেও তো আপনি যদি এটি সেবনে সতর্ক না হোন তাহলে
আপনি অজান্তেই ওভারডোজ খেয়ে ফেলতে পারেন। যার ফলে আপনার জরুরীভাবে
চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
- কথা বলার সময় শ্বাস প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিলে
- হাঁপানি রোগীদের মত শ্বাস-প্রশ্বাসে শো শো শব্দ সৃষ্টি হলে
- ত্বকে চুলকানি অথবা লাল ফুসকুড়ি জটিল ভাবে দেখা দিলে
- বুক অথবা গলা আটকে আসছে এমনটা অনুভূত হলে
- শরীরের কিছু অংশ থেকে চামড়া উঠে আসার মত অবস্থা ঘটলে
- হঠাৎ করে জিব্বা, গলা, ঠোঁট অথবা মুখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেলে
উপরের এই ৬টি লক্ষণের যেকোনো একটি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ
চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
প্যারাসিটামল সংক্রান্ত সাধারন জিজ্ঞাসা
প্যারাসিটামল খাওয়ার পরে সুস্থ হতে কতদিন লাগে?
প্যারাসিটামল ওষুধ সাধারণত ব্যথা কমাতে শুরু করে এবং প্রথম ডোজ নেওয়ার
প্রায় আধা ঘন্টা পরে ব্যথার উচ্চ মাত্রা কমিয়ে দেয়। প্যারাসিটামল
সেবনে সুস্থ হতে আসলে কত দিন লাগে নির্ধারিত কোন সময় নেই। আপনি যদি
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ডোজ মিস না করে নিয়মিত সেবন করেন তাহলে
দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন।
প্যারাসিটামল কি প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়?
প্যারাসিটামল প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় না। এই পর্যন্ত কোনো গবেষণায়
প্যারাসিটামল নারী অথবা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এমন নির্ভরযোগ্য
প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্যারাসিটামলের ডোজ চলাকালীন কোনো খাবার বা পানীয় থেকে বিরত থাকতে হবে কি?
প্যারাসিটামল ওষুধের ডোজ চলাকালীন প্রায় সকল ধরনের খাবার ও পানীয় খেতে
পারবেন। নির্ধারিতভাবে কোনো খাবার খেতে পারবেন না, এমন কোন নির্দেশনা নেই।
আবার আপনি খালি পেটেও এটি সেবন করতে পারবেন কোনো সমস্যা হবে না।
শেষকথাঃ প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম - প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করব যে, সঠিক নিয়মে প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করলে ভালো
ফলাফল পাওয়া যায়। আমি ইতিমধ্যে প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম -
প্যারাসিটামল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং প্যারাসিটামল এর অন্যান্য বিষয় নিয়ে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত হয়েছেন।
যেকোনো ঔষধ যেমন ভিটামিন, সাপ্লিমেন্ট, এমনকি হারবাল জাতীয় ওষুধ সেবন করলে
অবশ্যই বিষয়টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে জানাতে হবে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কোন
বিষয়ে বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে আমি
যথাযথভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
প্যারাসিটামল ওষুধ সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম এবং প্যারাসিটামল এর অন্যান্য তথ্য
সম্পর্কিত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের
ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url