ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা এবং ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর সাথে মোটামুটি আমরা সকলেই পরিচিত। ভিটামিন ই এর
ঘাটতি পূরণে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও চুল পড়া রোধ ও
ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। এর উপকারিতার শেষ নেই। তবে কিছু কিছু সময়ে ভুল ব্যবহারের কারণে সামান্য
খারাপ প্রভাব পড়ে। আজকে আর্টিকেলে ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা ও ই ক্যাপ এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিব।
আপনি যদি ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা এবং ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে
জেনে না থাকেন তাহলে অবহেলা না করে এই পোষ্টটি একেবারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা
করছি, আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে আসুন, আর কথা না বাড়িয়ে আজকের আলোচিত বিষয়
গুলো পোস্ট সূচিপত্রতে একবার দেখে শুরু করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা - e cap 400
আমরা প্রথমে ই ক্যাপ ক্যাপসুলের সংক্ষেপে পরিচিতি জেনে নেব। ভিটামিন ই ক্যাপ
ক্যাপসুলের নাম সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই শুনেছি। এটি ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল
লিমিটেড কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে। ভিটামিন ই আমাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
হিসেবে কাজ করে। একটি ক্যাপসুল হিসেবে খাওয়া যায় এবং বাহ্যিকভাবেও ব্যবহার করা
যায়।
আমি আশা করছি, এই সম্পূর্ণ পোস্টের মাধ্যমে আপনারা ই ক্যাপ 400 IU এর দাম কত, ই
ক্যাপ কেন খাবেন, ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা, ই ক্যাপ ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হয়,
ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে কি মোটা হয় এবং ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আসুন আমরা ই ক্যাপ 400 IU এর দাম কত সেটি জেনে
নেই।
ই ক্যাপ 400 এর দাম কত - e cap 400 price in bangladesh
ই ক্যাপ এর দাম সম্পর্কে জানতে অধিকাংশ মানুষ গুগল সার্চ করেন। ই ক্যাপ যেহেতু
অনেক উপকারিতা রয়েছে সেহেতু এর দাম সম্পর্কে সকলেরই জেনে রাখা
উচিত। তাহলে, বিভিন্ন ফার্মেসিতে কিনতে গেলে কোনরকম বিভ্রান্তিতে পড়বেন
না। ই ক্যাপ এর সঠিক দাম অনেকেরই অজানা। ই ক্যাপ 400 IU প্রতি
পিচ মূল্য ৭ টাকা।
- ই ক্যাপ 400 IU: Unit Price = 7 Tk (4*15=420 BDT) & Strip Price = 105 Tk
- ই ক্যাপ 200 IU: Unit Price = 5 Tk (4*15=300 BDT) & Strip Price = 75 Tk
- ই ক্যাপ 600 IU: Unit Price = 8 Tk (3*10=240 BDT) & Strip Price = 80 Tk
ই ক্যাপ কেন খাবেন?
এবার চলুন, ই ক্যাপ কেন খাবেন বা ই ক্যাপ কেন খায় সেই বিষয়ে জেনে নেই। ই
ক্যাপ ভিটামিন ই-র যতগুলো ঘাটতি রয়েছে সেগুলো সকল ঘাটতি পূরণ করতে
সহায়তা করে। যেমন রক্তে জমাট বাধা প্রতিরোধে, দুর্বলতা দূরীকরণে, চুল পড়া
রোধ, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মানবদেহে
এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ই ক্যাপ
ক্যাপসুল সেবন করলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও, ই
ক্যাপ শারীরিক সুস্থ রাখার এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির
জন্য সেবন করা অনেক জরুরী। আশা করছি, ই ক্যাপ কেন খাবেন বা কেন খাওয়া
উচিত সেটি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ই ক্যাপ এর ১২টি কার্যকরী
উপকারিতা জেনে নেই।
ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা - ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এক
স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান থেকে জানতে পেরেছি। চলুন, ই ক্যাপ এর
উপাকারিতাগুলো জেনে নেই।
ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণে: ই ক্যাপ মানবদেহের ভিটামিন ই
এর সকল ধরনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই বিভিন্ন
খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ই-ক্যাপ
ক্যাপসুল সেবন করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে: ই ক্যাপ এন্টি-অক্সিডেন্ট
হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অনেক
সময় বাইরে রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে মুখের উজ্জ্বলতা লোপ পায়।
আবার অনেকের মুখমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ হওয়ার কারণে কালো দাগ পড়ে
যায়।
তাদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ অনেক বেশি উপকারী। আপনি যদি ঘুমাতে যাওয়ার
পূর্বে ই ক্যাপ এর জেল মুখে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ব্রণ ও
দাগ দূর হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।
চুলে যত্নে: ই ক্যাপ চলে নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে চুলের
গোড়া মজবুত হয়, চুল অনেক সিল্কি হয় এবং চুল পড়া রোধ করে। চুলের
ক্ষেত্রে এর ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে, অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল এর সাথে
ই ক্যাপ মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪দিন এটি ব্যবহার করুন। এভাবে আগামী ২০
দিনের মধ্যে আপনি এর উন্নতি দেখতে পাবেন। বাহ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি
ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ক্ষতস্থান সারাতে: আমাদের শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে বা
ক্ষত হলে তা দ্রুত সারাতে ই ক্যাপ অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই
নিয়মিত ই ক্যাপ ক্যাপসুল সেবেন করলে ক্ষত স্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে
যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে: সাধারণত আমাদের দেহের
ভিটামিনের অভাব বা ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,
যার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করার জন্য ক্যাপসুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা,
এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান কাজ করে যা আমাদের শরীরের প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে: থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ
করতে হলে প্রতিদিন ই ক্যাপ ৪০০ ইউ আই সেবন করতে হবে।
তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। তাহলে আশা
করছি থ্যালাসেমিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিকরণে: ই ক্যাপ ভিটামিন সমৃদ্ধ ঔষধ
তাই অবশ্যই এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ই ক্যাপ
নিয়মিত সেবন করলে মানবদেহের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তাই,
ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ এবং শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি
প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২টা ই ক্যাপ খেতে পারেন।
ক্রিম হিসেবে: ভিতামিন ই ক্যাপ রাতে ক্রিমেরও কার্যকরী।
যারা রাতে ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের জন্যে ভিটামিন ই
ময়েশ্চারাইজিং হিসেবে বেশ কাজে আসবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল
এর সামান্য পরিমাণ তরল নিয়মিত ব্যবহৃত লোশন বা ক্রিমের সাথে
মিশিয়ে ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
বয়সে ছাপ দূরীকরণে: আমাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একটি
সাধারণ সমস্যা দেখা যায় সেটাই হচ্ছে ত্বক কুঁচকে যাওয়া কিংবা মুখে
বলিরেখা দেখা দেওয়া। ই ক্যাপে বিদ্যমান তরল সপ্তাহে ২-৩ দিন মুখে
লাগিয়ে আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলেন অথবা রাতে ঘুমাতে
যাওয়ার পূর্বে নিয়মিত ব্যবহৃত ক্রিমের সাথে ব্যবহার করেন,
তাহলে এ সমস্যা থেকে ইনশা'আল্লাহ অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারেন।
ঠান্ডা জনিত সমস্যায়: দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা জনিত সমস্যায়
ভুগছেন এমন ব্যক্তির রোগীদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ চমৎকার কাজ
করে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ঠান্ডা সমস্যায় প্রতিদিন
ই ক্যাপ ২০০ আই ইউ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আহার করলে অনেক ভালো
ফলাফল পাওয়া যাবে।
হার্ট সুস্থ রাখতে: হার্টজনিত বিভিন্ন সমস্যার জন্য ই ক্যাপ
বেশ কার্যকরী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ই ক্যাপ
৮০০ আই উ অথবা ই ক্যাপ ৪০০ আই উ সেবন করার ফলে হার্ট সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে।
নখের যত্নে: আমাদের নখের যত্ন সঠিকভাবে নেওয়া উচিত। নাহলে
নখের বিভিন্ন খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। নখের যত্ন সঠিকভাবে নিতে হলে,
নিয়মিত রাতে ঘুমানোর পূর্বে ই ক্যাপ এর ভেতরের তরল নখের
চারপাশে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে নখ ভালো থাকার পাশাপাশি
সারারাত নখ ময়েশ্চার থাকবে।
ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উপরে এওতক্ষন আমরা ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে
নিয়েছি। এবার চলুন, ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা জেনে
নেই। ই ক্যাপ এর উপকারিতার ভীড়ে অপকারিতা পাওয়া মুশকিল। এরপরেও
ব্যবহারে ভুল ব্যবহারে খারাপ প্রভাব বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
- অতিমাত্রায় ই ক্যাপ সেবন করলে আমাশয় এবং এলার্জি জনিত প্রভাব দেখা দিতে পারে।
- অত্যাধিক পরিমাণে সেবন করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
- অতিমাত্রায় খেতাব খেলে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
- যাদের হাই প্রেসার, লিভার, কিডনি এবং ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ই ক্যাপসুল সেবন করতে হবে।
- ই ক্যাপ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য, ত্বক ভালো রাখতে সরাসরি ব্যবহার না করে মধু,দই অথবা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ই ক্যাপ ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হয়?
আমরা ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিয়েছি। এবার চলুন, ই ক্যাপ
ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হয় বা ই ক্যাপ সেবনের নিয়ম জেনে নেই। ই
ক্যাপ সেবনের আলাদা তেমন কোনো নিয়ম নেই। আমরা সাধারণত ক্যাপসুল যেভাবে
সেবন করে থাকি ই ক্যাপও ঠিক সেভাবে খেতে হয়।
তবে এ ক্যাপ দিনে একটা থেকে সর্বোচ্চ দুটো খেতে পারেন। ই ক্যাপ ৪০০ আই
ইউ খাওয়ার উত্তম নিয়ম হচ্ছে, সন্ধ্যার সময় হালকা নাস্তা খাওয়ার পরে
ই ক্যাপ সেবন করা। আপনি যদি ভাল ফলাফল পেতে চান, তাহলে নিয়মিত ১৫ থেকে
২০ দিন খেতে হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রায় সবগুলাই ভাল কাজ করে। তবে আপনি কোন রোগের
ভিত্তিতে বা কি কাজে সেবন করবেন সেই প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে বাছাই
করে নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই ক্যাপ হচ্ছে ই
ক্যাপ ৪০০ আই ইউ, ই ক্যাপ ২০০ আই ইউ, ই ভিট, ই জেল ইত্যাদি।
ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে কি মোটা হয়?
আমরা এতক্ষণ ধরে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে এতোটুকু পরিষ্কার হয়েছি যে
ভিটামিন অনেক উপকারী। তবে যারা ডায়েটের মধ্যে আছেন তাদের মনে অবশ্যই
একটি সাধারন প্রশ্ন জাগবে সেটি হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে কি মোটা
হয়? উত্তর না। ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে অতিমাত্রায় বা প্রয়োজনে তুলনায় বেশি সেবন করলে ওজন বেড়ে
যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু, সবার ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যায় না।
কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। আশা করছি, ভিটামিন ই
ক্যাপ খেলে কি মোটা হয় কিনা জানতে পেরেছেন।
ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ই ক্যাপসুল খাওয়ার চিন্তাভাবনা
করছেন কিন্তু কোন পিকআপ সবচেয়ে ভালো হবে এই বিষয়টি বুঝে উঠতে
পারছেন না। মূলত তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে ই
ক্যাপসুল কোনটি ভালো সেই সম্পর্কে আপনাদের জানাব। ই ক্যাপসুল মোট তিন
ধরণের রয়েছে। প্রথমটি ই ক্যাপ ২০০, দ্বিতীয়টি ই ক্যাপ ৪০০,
এবং তৃতীয়টি ই ক্যাপ ৬০০ ক্যাপসুল। এই তিনটির মধ্যে ই ক্যাপসুল ৪০০
হচ্ছে সবচেয়ে ভালো।
আপনি যদি এই ক্যাপসুল নিয়মিত ব্যবহার করেন বা থাকেন তাহলে এর
উপকারিতা বা কার্যকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। তাই আপনি যদি ই
ক্যাপসুল সেবন করতে তাহলে ই ক্যাপ ৪০০ ওষুধটি সেবন করতে পারেন তবে
অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। আশা
করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে আপনি যদি একজন
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।
এরপরেও কমন নিয়ম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখুন। ভিটামিন ই
ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে যে আপনাকে প্রতিদিন রাতে খাবার
খাওয়ার পরে ১ টি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে।
এভাবে আপনি যদি নিয়মিত ২-৩ পাতার মতো খান, তাহলে দেখবেন আপনার শরীরে
ভিটামিন ই জনিত যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরাময় হয়ে যাবে। এর
পাশাপাশি শরীরকে রাখবে সুস্থ ও সতেজ। তাই আপনারা যদি কোনো
ধরনের ভিটামিন ই জনিত অভাবে ভোগেন তাহলে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি
খেতে পারেন।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আজকে এই পোষ্টের একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।
প্রতিটা ওষুধের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে ও জেনে বুঝে চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে এর ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। আপনি যদি
উল্লেখিত কোন বিষয়ে ভালো ভাবে জানতে না পারেন, তাহলে আবারো পুরো
পোস্টটি পুনরায় পড়ার অনুরোধ রইল।
আমরা ভিটামিন ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা এবং ই ক্যাপ এর
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ই ক্যাপ সম্পর্কিত আরো অন্যান্য বিষয়
নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত
হয়েছেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টে কোন বিষয়ে বুঝতে না পারেন,
তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে আমরা আপনাকে সঠিক
তথ্য জানিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ই ক্যাপ এর ১২টি উপকারিতা এবং ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধু বা
প্রিয়জনদের শেয়ার করে দিবেন। এতে অন্যরাও ই ক্যাপ ক্যাপসুল
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যবহুল বিভিন্ন স্বাস্থ্য
ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
এই বিষয়ে অনেক কিছুই জেনে ছিলাম না। এই পোষ্ট টি পড়ে উপকার হলো🥰