হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায়
আমাদের শারীরিক সমস্যা গুলোর মধ্যে হাই প্রেসার অতি পরিচিত। অনেকেই আছেন যারা হাই
প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় জানতে চান। আবার অনেকে হাইপ্রেসার থেকে
মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় কি এই প্রশ্নটি করে থাকেন। আমাদের কাছে
আপনার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের পোষ্টে আমরা হাই প্রেসার থেকে
মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
পাশাপাশি এই পোষ্টের মধ্যে আমরা হাই প্রেসার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা
করার চেষ্টা করব। তাই আমাদের এই পুরো পোষ্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে
নিন হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায়। আশা করছি, আপনারা
জেনে উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃভূমিকা
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, হাই প্রেসার (high pressure) যদি অতিমাত্রায় বেড়ে
যায় তাহলে হৃদ রোগের সমস্যা, স্ট্রোক, ও কিডনিজনিত সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার, অনেকেই হাই প্রেসার সম্পর্কে পরিপূর্ণ
ভাবে ধারণা না থাকায়, প্রথম পর্যায়ে লক্ষণ বা সমস্যাগুলো বুঝতে না পেরে অনেক
খারাপ স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে জেনে না থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক
উপকারে আসবে। আমরা আপনাকে এমন সঠিক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যার মাধ্যমে
আপনি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ। তাহলে আসুন, আর দেরি না করে হাই প্রেসার (high
pressure) সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নিই।
হাই প্রেসার কি | হাই প্রেসার বলতে কি বোঝায়
হাই প্রেসার কি এই প্রশ্নটি প্রায় অনেকেই করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর
দেয়ার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। তাহলে চলুন, প্রথমে হাই প্রেসার
কি সেটি জেনে নেই। ২০১৯ ও ২০২০ সালের বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপের
মতামত অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের উচ্চ
রক্তচাপ বা হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় আক্রান্ত।
আমরা জানি যে, স্বাভাবিক অবস্থায় হৃদপিন্ডের ধমনীর মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ
করে। কিন্তু, ধমনী যদি সংকুচিত হয়ে যায় তাহলে রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় চাপ
বেড়ে যায় যাকে আমরা হাই প্রেসার বলে থাকি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরামর্শ অনুযায়ী
হাই প্রেসার (high pressure) হচ্ছে সাধারণত একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
দেহে রক্তচাপ এর পরিমাণ থাকে ১২০ বাই ৮০ মিলিমিটার।
কিন্তু, যখনই কারো শরীরের রক্তচাপের পরিমাণ ১৪০ বাই ৯০ হয়ে যায় তখনই বুঝতে হবে
তার রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অর্থাৎ হাই প্রেসারজনিত সমস্যা রয়েছে।
অপরদিকে চাপ যদি ৯০ বাই ৬০ এর আশেপাশে থাকে তাহলে করতে হবে ব্লাড প্রেসার লো
অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার কমে গিয়েছে। আশা করছি হাই প্রেসার কি সেটা জানতে
পারলেন।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
যারা জানতে চান হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি বা যারা প্রতিনিয়ত হাই প্রেসার
জনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য মেডিসিন বিভাগের ডঃ মোঃ এনামুল করিম প্রথম
আলোর এক প্রতিবেদনে বলেন সুস্থ সবল প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে
কয়েকদিনের ব্যবধানে এক বা একাধিক রক্তচাপ মাপা জরুরী।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাইফ
স্টাইল অর্থাৎ তাদের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন প্রতিনিয়ত শারীরিক
পরিশ্রম করা, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা জোরে জোরে হাঁটা চলা করা এবং এভাবে
সপ্তাহে চার দিন হাঁটা উচিত।
হঠাৎ যদি হাই প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে ধূমপান করা যাবে না। আবার কেউ যদি
দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপে থাকেন তাহলে সেগুলো কমাতে হবে। এরপরেও যদি রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণের না আসে তাহলে তাকে মেডিসিন সেবন করতে হবে এবং ওষুধ খেতে হবে অবশ্যই
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
হাই প্রেসারে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি াপ হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে
সেই ব্যক্তির প্রতি পাঁচ মাস অন্তর হাই প্রেসার পরিমাপ করাবেন। আর যদি কোন
ব্যক্তির হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে ৩০ থেকে ৪০ দিন অন্তর
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাই প্রেসার (high pressure) পরিমাপ
করাতে হবে।
হাই প্রেসার কমানোর ঔষুধের নাম
আপনার যদি প্রতিনিয়ত হাই প্রেসার জনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনি সেই হাই প্রেসার
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওসারটিল ৫০ মিগ্রা (Osartil
50mg) ও ওল্মেসিপ ২০ মিগ্রা ওষুধটি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়াও হাই
প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এগুলো
ওষুধ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
সাধারণত ৫০ বছরের কম বয়সী রোগীকে চিকিৎসকরা অ্যানজিওটেনসিন ২ ব্লকার
গ্রুপের ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকে। আবার রোগীর বয়স যদি ৫০ বছরের বেশি হয়,
তাহলে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার গ্রুপের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে এই ওষুধের সাথে গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে পারেন। আশা করছি, হাই
প্রেসার কমানোর ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায়
বর্তমানে জীবনযাত্রায় শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে হাই প্রেসার অন্যতম। তবে ঘরোয়া
উপায়ে জীবন যাত্রা নিয়ম অনুযায়ী করার মাধ্যমে রক্ত চাপায় প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
হতে পারে। নিম্নে হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো-
নিয়মিত ব্যায়াম করা: বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতিনিয়ত
ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ সবল হওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
একজন মানুষকে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাটাহাটি কিংবা যেকোনো ধরনের ব্যায়াম
করা উচিত, তাহলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: উচ্চ রক্তচাপের কারণগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ওজন
হচ্ছে অন্যতম কারণ। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মাত্র তিন থেকে চার কেজি ওজন
কমানো গেলে হাই প্রেসার কমে যেতে পারে। এছাড়াও যাদের ভিসারাল ফ্যাট অর্থাৎ কোমরের
চারপাশে অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রক্তচাপে ঝুঁকি থাকে। এজন্য
হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চমাত্রায় টেনশন না করা: অতিরিক্ত বা হাইপার টেনশন আমাদের
মস্তিষ্কে অনেক গুরুতর ক্ষতির প্রভাব ফেলে। যার ফলে হাই প্রেসার এর লক্ষণ
দেখা দেয়। এজন্য চেষ্টা করুন নিজেকে পেশার মুক্ত রাখা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না
করা। তবে অনেকেই মানসিক চাপ থেকে রেহাই পায় না সে ক্ষেত্রে তারা চাইলে নিয়মিত
কিছু সময়ের জন্য প্রতিদিন নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থান করা এতে মানসিক চাপ এবং
রক্তনালী থেকে রক্তচাপ দুটি কমে যাবে।
চা ও কফির ব্যবহার: বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে,
প্রতিনিয়ত চা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে রামেক
হসপিটালের ডাঃ মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক টি উভয়ের মধ্যে
হাই প্রেসার কমাতে সাহায্যকারী উপাদান রয়েছে। তবে কফির কিছু সর্তকতা অবলম্বন
করতে হবে। অতিমাত্রায় কফি খেলে হাই প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য,
যাদের হাই প্রেসার জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কফি পানির অভ্যাস কমানো উচিত।
অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া: কফির চেয়ে লবনে হাই প্রেসার অনেকগুনে
বাড়িয়ে দেওয়ার উপাদান বেশি রয়েছে। এজন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অতিরিক্ত লবণ খেতে
বারবার নিষেধ করে। একজন সুস্থ সবল প্রাপ্তবয়স্কদের দৈহিক কার্যক্রম ও প্রয়োজন
অনুযায়ী ৫০০ মিগ্রা লবণ যথেষ্ট।
তিসি বিচ ব্যবহার করা: দ্য জার্নাল নিউট্রিশনে (The Journal
Nutrition) প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিসি বিচ খেতে বলা হয়েছে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
করার জন্য এটি বেশ উপকারী। এজন্য, সকালের নাস্তায় আপনি ওটমিল এর উপর ছিটিয়ে
খেতে পারেন অথবা সালাদের সাথে তিসি বিচ খাওয়া যেতে পারে।
মদ্যপান বা তামাক সেবন থেকে বিরত থাকা: চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত
যে, ধূমপান বা মদ্যপান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো সেবনের ফলে
অস্থায়ীভাবে হাই প্রেসার অনেক গুনে বেড়ে যায়। মদ্যপান এবং ধূমপানের
মাধ্যমে শুধু হাইপ্রেসারই নয় বরং শারীরিক আরো অনেক ধরনের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন
হতে হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মদ্যপান করলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার
পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না | উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন চলুন
এই বিষয়ে রামেক হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ তারেক আহমেদ চৌধুরীর কাছ থেকে
জেনে নিই।
- মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- প্যাকেটজাত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ভাত পরিমাণে কম খেতে হবে।
- যেহেতু অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় সেহেতু খাবারে লবনের পরিমাণ কমাতে হবে।
- অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হয় যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি।
হাই প্রেসার কমানোর খাবার | উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন না
হাই প্রেসার কমানোর খাবার এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন না আসুন এবার
এই বিষয়েও রামেক হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ তারেক আহমেদ চৌধুরী কি বলেছেন
সেটি জেনে নিই।
- প্রতিদিন পরিমাণ মতো এক কাপ গরুর দুধ খেতে পারেন।
- তৈলাক্ত মাছ না খেয়ে অন্য ছোট মাছ খাওয়া যেতে পারে তবে সবচেয়ে ভালো হয় নদীর ছোট মাছ খেতে পারলে। কিন্তু সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবেনা।
- এরপর পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে যেমন ডাবের পানি, টমেটো, কলা ইত্যাদিতে পটাশিয়াম রয়েছে।
- দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি যেমন ফুলকপি, লাউ, পালং শাক, বাঁধাকপি, শিম,টমেটো, বেগুন ইত্যাদি রাখতে হবে।
- হাই প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে ফলমূল হিসেবে আমলকি, পেঁপে, ডালিম, কলা,পেয়ারা ইত্যাদি এগুলোর মধ্যে খাওয়া যেতে পারে।
দ্রুত হাই প্রেশার কমানোর উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশে বহু সংখ্যক মানুষ হাই প্রেসারে ভুগছেন। এ ধরনের রোগীরা
যেকোন সময়, যেকোন পর্যায়ে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। অতএব, এই
জটিল পরিস্থিতিতে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর কিছু নিয়ম সকলেরই জেনে রাখা জরুরি।
তাহলে আসুন জেনে নেই হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে আপনি কিভাবে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে আসতে পারবেন সেই সম্পর্কে।
- দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে তৈলাক্ত জাতীয় খাবার, ঘি, মাখন, রেড মিট একেবারেই খাওয়া নিষিদ্ধ।
- দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় আধার রাখতে হবে। কেননা, আদা রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও খাবারে অতিরিক্ত লবণ, চর্বিযুক্ত খাবার, ধূমপান হাই প্রেসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং এসব খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
- হঠাৎ করে হাই প্রেসার বেড়ে গেলে শারীরিক চলাচল কমিয়ে দিতে হবে। কারণ, শারীরিক চলাচল বেড়ে গেলে রক্তের চাপ আরো বেড়ে যায়।
- দ্রুত হাই প্রেসার কমাতে তেতুলের রস অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যারা তেতুলের রস খেতে পারেন না তারা তেতুলের রসের পরিবর্তে লেবুর পানি খেতে পারেন।
লেখকের কিছু শেষকথা
আমরা ইতিমধ্যে হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায় আলোচনা
করেছি। আশা করছি, এই পোস্টটি অনুসরণ করে আমাদের জীবনের মান পরিবর্তন করলে আমরা
অনেকেই হাই প্রেসার থেকে রেহাই পাবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কোন বিষয়ে
বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে আমি যথাযথভাবে
সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ৭টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে লেখা আমার আজকের
আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন। এতে অন্যরাও হাই
প্রেসার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যবহুল স্বাস্থ্য ও
প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত
ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url