নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় - নাকের পলিপাসের ওষুধ

নাকের পলিপাস খুবই সাধারণ একটি সমস্যা যা আমরা নাকের পলিপ (Nasal polips) হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে নাকের পলিপাস নিয়ে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ সর্দি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনি যদি নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে।
নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় - নাকের পলিপাসের ওষুধ
আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ নাকের পলিপাস সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আমরা আলোচনা করবো। তাহলে চলুন, আর দেরি না করে আজকের আলোচিত বিষয় গুলো পোস্ট সূচিপত্রতে একবার দেখে শুরু করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

আসুন, আমার প্রথমে নাকের পলিপাস সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা নেই। নাকে পলিপাস অনেক পরিচিত একটি রোগ। এটি শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী ব্যক্তিদের এই রোগ দেখা দিতে পারে। নাকের পলিপাস খুব অনেক বড় হয়ে গেলে অস্ত্রপাচার করা হয়ে থাকে। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে নাকের পলিপাস থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

নাকের পলিপাস সম্পর্কে নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. আল-আমিন জানিয়েছেন এটি সাধারণত ইথময়েড সাইনাস থেকে তৈরি হয়। আবার কোনো, ক্ষেত্রে ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকেও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনেক সময় নাকের মধ্যে ছত্রাকজাতীয় ইনফেকশন দেখে থাকি।

যদি নাকের ছত্রাক জাতীয় ইনফেকশন নাকের উভয়দিকে ছড়িয়ে যায় সেক্ষেত্রে একের অধিক সাইনাস পলিপাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের পলিপাসগুলো প্রারম্ভিক পর্যায়ে সাইনাসের ভেতরে দিকে বিদ্যমান থাকে। অনেক সময় এটি বাড়তে বাড়তে সাইনাস থেকে নাকের একেবারে মধ্যে চলে আসে এবং তখন আমরা খালি চোখে নাকের ভিতর পলিপাসগুলো দেখতে পাই।

নাকের পলিপাস কয় প্রকার?

নাকের পলিপাস সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা উপরের জেনে নিয়েছি। এবার চলুন, নাকের পলিপাস এর প্রকারভেদ জেনে নেই। সাধারণত নাকের পলিপাস দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটা হচ্ছে ইথময়েড (Ethmoid) পলিপাস যা এলার্জি জনিত কারণে দুই নাকে দেখা যায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে এন্ট্রোকোয়ানাল (Enterochoanal) পলিপাস যা ইনফেকশন এর কারণে এক নাকে দেখা দেয়।

অধিকাংশ মানুষেরই এলার্জির সমস্যা থাকে। সেই এলার্জিতে যদি কোন ফাংগাল বা ছত্রাক সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে ইথময়েড পলিপাস হত পারে। আবার কিছু কিছু বাচ্চাদের সব সময় সর্দি দেখা যায় এবং সেই বাচ্চারা তাদের নখ দিয়ে নাক খুটরাতে থাকে, সেই স্থান থেকেই ইনফেকশন হতে পারে। যার ফলে, এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস দেখা দেয়। এবার চলুন, পলিপাস হওয়ার কারণ কি সেটি জেনে নেই।

নাকে পলিপাস হওয়ার কারণ কি

সাধারণত নাকে পলিপাস হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এলার্জি। তবে নাকের পলিপাস এর কারণ নিয়ে গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। এই এলার্জি ধুলাবালি থেকে হতে পারে কিংবা নাকের ভেতরে ক্রনিক ইনফেকশন এর কারনেও হতে পারে। আবার, কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে ছত্রাক জনিত ইনফেকশনের এলার্জি থেকে সাইনাস জুড়ে পলিপাস সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় কিছু কিছু চিকিৎসকেরা বলেন, নাকের অভ্যন্তরে রক্তনালীর অস্থিরতা থেকেও পলিপাস তৈরি হয়। ঋতু পরিবর্তনকালীন সময়ে এলার্জির সমস্যা বেশি দেখা দেয় অনেক সময় পরিবারগত বা বংশগত কারণেও নাকে পলিপাস দেখা দেয়। নাকের এলার্জিকে এলার্জিক রাইনাইটিস, গলার এলার্জিকে ফ্যারিনজাইটিস (Pharyngitis) ফুসফুসের এলার্জিকে অ্যাজমা বলা হয়।

একটি অপরটির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। যাদের হাঁপানি রয়েছে তাদের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে নাকেরও এলার্জি রয়েছে। আবার, যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের শতকরা ২০ ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে হাঁপানিও রয়েছে। মূল কথা হচ্ছে ফুসফুসের অ্যালার্জি অর্থাৎ হাঁপানি ও নাকের এলার্জি একটি সাথে আরেকটি বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে।

সুতরাং, নাকের এনার্জি যদি ভালোভাবে আয়ত্তে না আনা হয় তাহলে অনেক সময় হাঁপানি বিরূপভাবে বেড়ে যেতে পারে। এজন্য, ফুসফুসে এলার্জি ঠিকমত চিকিৎসা করাও জরুরি। তা নাহলে নাকের উপর অনেক খারাপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। আশা করছি, নাকে পলিপাস হওয়ার কারণ বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, নাকের পলিপাসের লক্ষণগুলো জেনে নেই।

নাকের পলিপাসের লক্ষণ

নাকের যেকোনো একপাশে কিংবা উভয় পাশে পলিপাস দেখা দিতে পারে। একেক রোগীদের ক্ষেত্রে একেক ধরনের পলিপার হয়ে থাকে। নাকের পলিপাসের লক্ষণ কম বেশি হয়ে থাকে পলিপাসের আকারের উপর ভিত্তি করে। নাকের পলিপসের সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে-
  • জ্বর জ্বর ভাব থাকা
  • নাকের মধ্যে শিরশির করা
  • নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা
  • ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা
  • নাক বন্ধ বা অবরুদ্ধ থাকা
  • সব সময়ই ঠান্ডা লেগে থাকা
  • রাতে নাক দিয়ে রক্ত পড়া
  • কিছুক্ষণ পরপর হাঁচি হওয়া
  • মুখে ও মাথায় ব্যথা হওয়া
  • কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হওয়া
  • খাবারের বেশ অরুচি হওয়া
  • ঘ্রান শক্তি অনেকটাই কমে যাওয়া ইত্যাদি।
আশা করছি, ইতিমধ্যে নাকের পলিপাসের লক্ষণগুলো বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। তাহলে এখন নিশ্চয়ই আপনার অথবা আপনার আশেপাশে মানুষদের নাকে পলিপাসের লক্ষণটা ধরতে পারবেন। এবার চলুন আমরা জেনে নেব নাকে পলিপাস কেন হয়।

নাকে পলিপাস কেন হয়?

নাকে পলিপাস কেন হয় এটি হয়তো অনেকেই জানতে চাই। আমাদের মানবদেহে স্বাভাবিক গঠন অনুযায়ী নাকের অভ্যন্তরে একটি মিউকাস মেমব্রেন রয়েছে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাইরে থেকে প্রবেশ করা বায়ু পরিশোধনে সহায়তা করে। ইনফেকশন কিংবা অ্যালার্জির বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় মিউকাস মেমব্রেনের প্রদাহ হলে তা ফুলে ওঠে যাকে পলিপাস বলা হয়।

নাকের পলিপাস বাচ্চাদের থেকে শুরু করে যে কোন বয়সই মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে তবে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মধ্যবয়স্কদের উপর। যাদের এলার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি সাইনাস এলার্জি অথবা বংশগত পলিপাস হওয়ার ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আশা করছি, নাকে পলিপাস কেন হয়? সেটি জানতে পেরেছেন।

নাকের পলিপাসের ওষুধ

এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব নাকের পলিপাসের ওষুধ অর্থাৎ যেসব মেডিসিনের মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা যায়। হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নাকের অভ্যন্তরে বা ভেতরে একটি কাঠি দিয়ে বেড়ে যাওয়া মাংসের উপর হোমিও ওষুধ দিয়ে দেয় এবং রোগের গঠন বা লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। যার ফলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পলিপাস পরে ভালো হয়ে যায়।

তবে হোমিও চিকিৎসায় নাকের পলিপাস ভালো হয়ে যাওয়ার পরেও যদি অ্যালার্জি পুরোপুরি দূর না হয়, তাহলে আবারও নাকে পলিপাস হতে পারে। এজন্য আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। নাকের পলি পাশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকে যার মধ্যে এন্টি-হিস্টামিন গোত্রের ওষুধ খুবই কার্যকর। এন্টি-হিস্টামিন গোত্রের সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধের নাম হচ্ছে ফেক্সোফেনাডিন ১২০ মিগ্রা। এটি দিনে একটি করে সেবন করতে হয়।

নাকের পলিপাস এর ড্রপের নাম কি?

নাকের পলিপাসের ঔষধের নাম তো জেনে নিলাম। এবার চলুন নাকে পলিপাসে ড্রপের নাম ও  ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিই। নাকে পলিপাস থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এক ধরনের ড্রপ পাওয়া যায় 
যে ড্রপগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নাকের মধ্যে পেরে যাওয়া মানুষ কমে যেতে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্টোরয়েড জাতীয় ড্রপ ব্যবহার হয়ে থাকে যেমন-
  • ফ্লুটিকাসোন (Fluticasone)
  • বুডেসোনাইড (Budesonide)
  • মোমেটাসোন (Mometasone)
এসব ড্রপ নাক বন্ধ থাকা সহ অন্যান্য উপসর্গ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পর্যায়ে ব্যবহার করলে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, রেস্পিজেন নাজাল স্প্রে ব্যবহার করলে নাকে পলিপাস জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এজন্য, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আক্রান্ত রোগীকে এই ড্রপ বা স্প্রে নিয়মিত ব্যবহার করতে বলেন।

নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায়

সাধারণত মানুষ নাকে পলিপাস সৃষ্টি হলে প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া উপায়ে একটি দূর করার চিন্তাভাবনা করে থাকে। কেননা যে ব্যক্তি এই রোগে ভোগেন একমাত্র তিনিই জানেন যে এই সমস্যা কতটা ভোগান্তি নিয়ে আসে। আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো, কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে নাকের পলিপাস দূর করতে পারবেন।

আপনি যদি খাবারের সাথে আদা খেতে পারেন তাহলে আপনার নাকের পলিপ কিছুটা হলেও দূর হয়ে যাবে। কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে নাকের পলিপাস নিরাময় করা যায় কেননা হলুদের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণে এন্টিপেমেন্টারি উপাদান। এই উপাদানের মূল কাজ হচ্ছে মানব দেহের বিভিন্ন ধরনের যেগুলো সংক্রমণজনিত রোগ আছে  সেগুলো থেকে দূরে রাখা।

এজন্য, এই সংক্রমণ কমাতে হলে হলুদ ব্যবহার করুন। এছাড়াও হলুদের পাশাপাশি আপনি রসুনও খেতে পারেন। রসুন এন্টিবায়োটিক হিসেবে আমাদের মানব দেহে কাজ করে থাকে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে রসুন মানুষের দেহের পাকস্থলীর কার্যকরতা দ্রুত বৃদ্ধি করে যার ফলে হজম শক্তিও হয়।এছাড়াও রসুন মানব দেহের প্রদাহ দূর করে।

তাই রসুন নাকের পলিপাস দূর করার ক্ষেত্রে অনেক উপকারী একটি মাধ্যম। সাধারণত ঋতু পরিবর্তন হলে ঠান্ডা জনিত কারণে অথবা বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগলে নাকের পলিপাশ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে যেসব ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে সেগুলো হচ্ছে-
  • প্রথমে হালকা গরম পানিতে অল্প পরিমাণে লবণ মিশিয়ে নাকের ভেতরটা ভালোভাবে পরিষ্কার করা।
  • কুসুম গরম পানিতে সামান্য পরিমাণে ভিনেগার মিশে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনবার খাওয়া।
  • গরম পানির ভাব নেওয়া এবং আদা দিয়ে রং চা খাওয়া, সাথে লেবু মিশিয়ে নিলে বেশি ভালো হয়।
  • খাবারে রসুন খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সালাদের সাথেও রসুন যোগ করে খাওয়া।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা যেন শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে।
  • যেসব খাবারে এলার্জি রয়েছে যেমন বেগুন, কচু, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, হাঁসের মাংস ইত্যাদি এসব খাবার বর্জন করা।
  • এ সময় শ্বাসের ব্যায়াম করা। এই সমস্ত ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে আপনার নাকের পলিপাস অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
তবে অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে যদি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন নাকের পলিপাসের কোন উন্নতি না হয় তাহলে এই রোগের চিকিৎসায় ওষুধ রয়েছে যেগুলো আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। আপনি চাইলে ওষুধের এবং ড্রপের নাম দেখে নাকের পলিপাস দূর করতে পারবেন।

ওষুধ দ্বারা বা ঘরোয়া উপায়ে যদি আপনার নাকের পলিপাস দূর না হয় তাহলে সার্জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অপারেশন করতে পারেন। কেননা, ওষুধ বা ঘরোয়া উপায়ে অবলম্বন করে যদি নাকের পলিপ দূর না হয় তাহলে তো অপারেশন করতেই হবে।

এই রোগে অপারেশন করলে নাকের পরিবার চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সহজেই অপারেশন করা যাবে না। আপনাকে এটি দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।  এজন্য, সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ জেনে সেটি আগে দূর করতে হবে।

এরপর ঘরোয়া উপায়েগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। তাহলে, আপনার নাকের পলিপাস দূর হয়ে যাবে এবং আপনি এই রোগ থেকে রেহাই পাবেন। আশা করছি নাকের পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

লেখকের শেষকথাঃ নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি নাকের পলিপাস দূর করার জন্য উক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলেন তাহলে আশা করছি আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। আমরা আজকে এই পোষ্টের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আপনি যদি উল্লেখিত কোন বিষয়ে ভালো ভাবে জানতে না পারেন অথবা এই সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে তারা অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

তাহলে আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা ইতিমধ্যে নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার পাশাপাশি নাকের পলিপাস সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টে কোন বিষয়ে বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই আরো একবার মনোযোগ সহকারে পড়ে আসুন। নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধু অথবা প্রিয়জনদের এর কাছে শেয়ার করে দিবেন।

এতে তারাও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে। তথ্যবহুল স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত পরিদর্শন করুন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url