বর্তমানে সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া ২০২৪
বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষই নিজ স্বাধীন কর্ম হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নেওয়ার
চিন্তাভাবনা করছে। এজন্য অনেকেই এই বিষয়ের গুগল সার্চ করে থাকেন। কারণ এখন
প্রতিটা মানুষই লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খোঁজে। অনেকেই হয়তো বর্তমান সময়ে লাভজনক
ব্যবসা সম্পর্কে জানে না। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো বর্তমানে
সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আশা করছি,
আপনারা জেনে বেশ উপকৃত হবেন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে এই
বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনারা যারা ব্যবসায়ী স্বাবলম্বী
হতে চান তাদের জন্য লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরী। তাই
অবহেলা না করে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
উপস্থাপনা
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সঠিক
ভাবে ব্যবসা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনাও জরুরী। আপনি যদি ২০২৪ সালে এসে
ব্যবসা করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে সাফল্য লাভ করার জন্য
সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।
কেননা এখন বাজারে অনেক প্রতিযোগীদের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। কারণ, ব্যবসা সবাই
করতে পারে না বা সবাই সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এজন্য, আপনি যেই ব্যাবসায়
করেন না কেন টাকা ও সময় দিতেই হবে। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সে ব্যবসা
সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে হবে।
আপনি যদি ব্যবসার জগতে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ১৫ টি লাভজনক
ব্যবসা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
তাহলেই আপনি ব্যবসার ধারণা নিতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত
জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া
অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা: বর্তমানে
অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কেননা অনলাইন ভিত্তিক
ব্যবসা শুরু করতে অনেক বেশি মুদ্রণের প্রয়োজন হয় না অল্প পুজিতেই অনলাইন
ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি অনলাইনে কোনো
পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ওয়েবসাইট, ফেসবুক গ্রুপ, ইন্সটাগ্রাম
ইত্যাদির মাধ্যমে পন্যের প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন।
এরপর আপনি যে কোন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা আপনার ব্যক্তিগত মাধ্যমে
ক্রেতার কাছে পন্য ডেলিভারি দিতে পারবেন। তবে শুধু নিজের পণ্য নয় আপনি চাইলে
অন্যের পণ্য অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারবেন। এতে সেই বিক্রি
করে দেয়া পণ্য থেকে আপনি কয়েক পার্সেন্ট অর্থ পেয়ে যাবেন। তাই বর্তমান
সময়ে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা।
ফাস্ট ফুড এর ব্যবসা: বর্তমানে শহরগুলোতে অলিতে গলিতে ফাস্টফুডের
ব্যবসা ব্যাপকভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল,
কলেজ, অফিস, আদালত ইত্যাদির পাশে সবচেয়ে বেশি ফাস্ট ফুডের এর দোকান দেখা
যায়। কারণ ফাস্টফুড ব্যবসা করে বেশ ভালো লাভবান হওয়া যায়।
ফাস্ট ফুড হচ্ছে মুখরোচক খাবার যা আমরা সকলেই পছন্দ করে থাকি। অধিকাংশ মানুষই
বাইরে গেলে ফাস্টফুড খেয়ে থাকে বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি পছন্দ করে।
তাই আপনি এ ব্যবসয় সঠিক বিনিয়োগ করে শুরু করলে অনেক লাভবান হতে
পারবেন।
ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা: ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা লাভবান হওয়ার জন্য
উপযুক্ত ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে পূর্ব প্রস্তুতি এবং কিছু
পরিকল্পনা করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অনেক আগে থেকেই অভিজ্ঞ
সম্পূর্ণ পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে পরিচিত। তাই আমরা ভালোভাবে চিন্তাভাবনা
করে দেখেছি ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, টি-শার্ট ইত্যাদি
এর সুন্দর পোশাক ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে এই ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে কোন জায়গায় ভাড়া নেওয়া প্রয়োজন
পড়বে না। কারণ আপনি এই ব্যবসা ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে
আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করে বিক্রয় করুন। এভাবে ফ্যাশন হাউজ বিজনেস শুরু
করতে পারবেন।
খেলনার ব্যবসা: বর্তমান বাজারগুলোতে খেলনার জনপ্রিয়তা বেড়েই
চলেছে। খেলনা বেশিরভাগ চীন থেকে অনেক সস্তা দামে নিয়ে এসে বিক্রি করে
থাকে। এই ব্যবসায় খুব বেশি মূলধন ও মেধার প্রয়োজন হয় না। আপনি
কম পুঁজি দিয়ে সাধ্যমত এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা খুব সহজে শুরু
করে লাভবান হতে পারবেন।
ফুলের দোকানের ব্যবসা: ভালোবাসা ওত ভাব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ
করার জন্য অধিকাংশ মানুষই ফুল ব্যবহার করে থাকেন। এটি কম বিনিয়োগে সবচেয়ে
বেশি লাভজনক ব্যবসা। আপনি যেকোনো উপলক্ষকে উদ্দেশ্য করে বা বিশেষ প্রোগ্রামকে
কেন্দ্র করে এই ব্যবসা করতে পারবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য তেমন মূলধনের দরকার হবে না আপনি শুধু একটি ভালো
জায়গা নির্বাচন করবেন সেখানে চাইলে আপনি কৃত্রিম ফুলগুলোও রাখতে পারেন। এই
কৃত্রিম ফুলগুলোর বর্তমানে বেশ চাহিদা রয়েছে। কারণ সৌখিন মানুষেরা বাড়ি
সাজানোর জন্য এই ফুলগুলো কিনে। তাই আপনি কম পুঁজিতে বর্তমান সময়ে এই
লাভজনক ব্যবসা করতে পারে।
কসমেটিক্সের ব্যবসা: বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েরা প্রচুর
কসমেটিক্স ব্যবহার করে। এজন্য বর্তমান বাংলাদেশে এর চাহিদাও দিন দিন বেড়ে
যাচ্ছে। এজন্য আপনি চাইলে কসমেটিকসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমরা খোঁজখবর
নিয়ে দেখেছি কসমেটিকসের ব্যবসায় প্রতি মাসে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ লাভ করা
সম্ভব। আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।
মাছের ব্যবসা: আপনার যদি মাছ মাছ চাষ করার পর্যাপ্ত জায়গা থাকে
তাহলে আপনি মাছের ব্যবসা করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে মাছ চাষের জন্য পর্যাপ্ত
আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তারপর পরিবেশ বিশ্লেষণ করতে হবে যে এটি মাছ
চাষের জন্য উপযুক্ত জায়গা হবে কিনা।
উপযুক্ত না হলে সেই জায়গাটা উপযুক্ত করতে হবে এরপর মাছের বিভিন্ন প্রজাতি
সম্পর্কে জানতে হবে তাহলেই আপনি খুব সহজেই মাছ চাষ শুরু করতে পারবেন।
আপনি যদি মাছের স্বাস্থ্য সম্মত খাবার এবং পানির দিকে খেয়াল রেখে মাছ চাষ
করেন তাহলে বর্তমান সময় এটি আপনার জন্য অনেক লাভজনক হয়ে উঠবে।
পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা: বর্তমান বাংলাদেশে
পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সকলেই
জানি বাংলাদেশ হচ্ছে কৃষি প্রধান দেশ আর আপনি সহজেই এই দেশে পোল্ট্রি ফার্ম
অর্থাৎ মুরগি পালনের ব্যবসা করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সঠিক জায়গা নির্বাচন
করতে হবে ও ঠিকভাবে খাবার দিতে হবে। এভাবে আপনি কম পুঁজি দিয়ে মুরগির
ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
সবজি চাষের ব্যবসা: আমরা সকলেই সারা বছর শাক-সবজি খেয়ে থাকি।
তাই মৌসুম অনুযায়ী সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে আত্মবিশেষের
সাথে সবজি চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
সবজি চাষে লাভবান হতে হলে আপনাকে সবজি বিক্রি কিভাবে করবেন সেটি আগে থেকেই
নিশ্চিত করতে হবে। কেননা আমার সকালেই জানি সবজি একটি পচনশীল পণ্য। আপনি যদি
সঠিকভাবে যত্ন না নেন তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন না। সবজি চাষের জন্য আপনি
প্রথম অবস্থায় কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
গিফট শপের ব্যবসা: আমরা প্রত্যেকেই কারো বিয়ের অনুষ্ঠান,
জন্মদিন অথবা যে কোন প্রোগ্রামে গিফট হিসেবে কিছু নিয়ে যায়। তাই গিফট পণ্য
এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি গিফটের ব্যবসা করতে চান তাহলে তাকে
সুন্দর সুন্দর গিটার কালেকশন রাখতে হবে। আপনি চাইলে অফলাইন ও অনলাইন দুটি
মাধ্যমেই এই ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন পারবেন।
আচারের ব্যবসা: আপনি যদি আচার বানানো তে বেশ ভালো পারদর্শী হয়ে
থাকেন বা আপনার আচারের গুণগত মান যদি অতুলনীয় হয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে
আচারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনাকে বিভিন্ন মৌসুমে স্বল্পমূল্যের ফল কিনে
আচার বানিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
যেমন তেতুলের মৌসুমে তেতুলর আচার, আমের মৌসুমে আমের আচার, জলপাইয়ের মৌসুমে
জলপাইয়ের আচার ইত্যাদি। আপনার আচারের গুণগতমান যত ভালো হবে আপনার ব্যবসায়
লাভও তত বেশি হবে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী আচারের ব্যবসা করতে
পারেন।
ফল চাষের ব্যবসা: ফল চাষের ব্যবসা করে এখন অনেক মানুষ প্রচুর
টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি চাইলেও বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করতে পারেন কারণ
দৈনন্দিন জীবনে মানুষ প্রায় ফল খায়। এছাড়াও আপনি যদি ফল চাষ করতে না চান
যে ফল চাষ কিভাবে করব বা কোন ফলের চাষ করব এটি ভাবতে ভাবতে আপনার সময় পার
হয়ে যাচ্ছে।
এমতবস্তায়, আপনি ফলের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। যেমন সারা বছর চলে এমন
ফলের ব্যবসা করবেন তার পাশাপাশি যেসব মৌসুমের ফল অর্থাৎ আমের সিজনে
আমের ব্যবসা তরমুজের সিজনে তরমুজ ব্যবসা ইত্যাদি করতে পারেন তাহলে ফলের
ব্যবসা করে অনেক লাভবান হতে পারবেন।
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা: বর্তমানে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করে অনেক
লাভবান হওয়া যায়। ভালো মানের খাবার এখন সকলেই পছন্দ করে। অনলাইনের মাধ্যমে
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করা যার। এই ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি মুখ ধোন
প্রয়োজন হয় না। আপনি নিজের সাধ্য অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট বড়-ছোট নিয়ে
চিন্তা না করে খাবারের মানটা যেন ভালো হয় সেই দিকটা বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
কারণ মানুষ কোয়ালিটি সম্পন্ন খাবার যেখানে পায় সেখানেই ভিড় জমায়। তাই আপনি
চাইলে ছোট জায়গা নির্ধারণ করে খাবারের মান ভালো রেখে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
তবে প্রথম দিকে ছোট জায়গা থেকেই রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা শুরু করা উচিত
তাহলে আপনি বেশি লাভবান হতে পারে।
খাবার ডেলিভারির ব্যবসা: খাবার ডেলিভারির ব্যবসা সাধারণত
শহরভিত্তিক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন কাজে
ব্যস্ত থাকাই অনলাইনে খাবার অর্ডার করে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে এটি বেশি
প্রচলিত।
বিভিন্ন অফিস আদালত কিন্তু প্রতিষ্ঠানে খাবারের জন্য তারা অনলাইনে অর্ডার করে
থাকে। আপনি যদি ভালো মানের খাবার তৈরি করে ডেলিভারির করতে পারেন তাহলে বেশ
ভালো লাভবান হতে পারবেন।
স্টেশনারি ব্যবসা: স্টেশনারি ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। এই
ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই স্কুল-কলেজের সামনে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে
স্টেশনারি দোকান দিতে হবে। কারণ এই পণ্যগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে
থাকে।
এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগেই পরিকল্পনা করে রাখতে হবে যে কোন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে দোকান দিতে পারলে বেশি বিক্রি করা যাবে। সেই অনুযায়ী
ব্যবসা শুরু করতে পারলে বেশি ভালো লাভবান হতে পারবেন।
মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা: মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা চিরচারিত
ব্যবসা। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেকোনো সময় সমস্যা হতে পারে। কোনো ধরনের সমস্যা
দেখা দেবে আমরা সার্ভিসি করাতে নিয়ে যায়। সুতরাং বলা চলে মোবাইল
সার্ভিসিং ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে মোবাইল সার্ভিসিং সম্পর্কে ভালো দক্ষ থাকতে
হবে এবং গ্রামে কিংবা শহরে একটি নির্দিষ্ট দোকান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু
যন্ত্রপাতি লাগবে। তবে খুব বেশি বিনিয়োগ করা লাগে না। আপনি অল্প পুজিতে এ
ব্যবসা শুরু করে বর্তমান সময়ে লাভবান হতে পারবেন।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা: ইভেন ম্যানেজমেন্ট সাধারণত
বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনে পরিচালনাকে বলা হয়। যেমন
বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান, স্কুল-কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী
অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রোগ্রাম ইত্যাদি গুলোতে
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সার্ভিস দেয়া যেতে পারে। এই ব্যবসা শুরু করতে দক্ষ
জনবলের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি প্রতিটা ইভেন্ট তাদের পছন্দমত সম্পন্ন করতে
পারেন তাহলে বেশ ভালো কাজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আইটি ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা: বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির উপর
নির্ভরশীল। আমাদের আশেপাশে এখন অনেক আইটি সেন্টার দেখা যায়। আপনি যদি নিজে
দক্ষ ট্রেইনার হয়ে থাকেন অথবা একটি আইটি সেন্টার চালু করে দক্ষ লোক নিয়োগ
দিয়ে সেখানে বিভিন্ন কোর্স করাতে পারেন তাহলে বর্তমান সময়ে অনেক লাভবান
হতে পারবেন।
বর্তমানে যেসব সব কোর্সের চাহিদা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে অ্যাডভান্সড ডিজিটাল
মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ভিডিও এডিটিং,
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এইগুলো কোর্স শুরু
করার মাধ্যমে আপনি আইটি সেন্টারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কম্পিউটার সার্ভিস ব্যবসা: বর্তমান সময়ে আরেকটি লাভজনক
ব্যবসা হচ্ছে কম্পিউটারের দোকান দিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সার্ভিস
দিয়ে ইনকাম করা। যেমন এখন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার
চলছে সে ক্ষেত্রে প্রতিটা শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন লাইসেন্স আবেদন, টিকার আবেদন, জমির রেজিস্ট্রেশন, দলিল লিখন
ইত্যাদি আরো অনেক কার্যক্রম রয়েছে যেগুলো মানুষের সারাবছরই অনলাইনে কাজ
করতে হয়। যেগুলো সাহায্যে আপনি সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনি
চাইলে কম্পিউটারে অনলাইন ভিত্তিক সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কোচিং ব্যবসা: কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে ব্যবসা করে এখন অনেকেই
প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন। একটি সম্পন্ন কোচিং সেন্টার
শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী তাই চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি
চাইলে অল্প বিনিয়োগ করে কোচিং সেন্টারঘরে চালু করে দক্ষ টিউটরের মাধ্যমে
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু টিপস
শেষকথাঃ বর্তমানে সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া
পরিশেষে বলতে চাই যে, আপনি যদি উল্লেখিত ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়ার
মাধ্যমে নিজের সাধ্যমতো ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে প্রতিটা
ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক পথ অবলম্বন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি
সঠিক পথ অনুসরণ করে সে পথ অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারেন, তাহলে অবশ্যই
ব্যবসায়ে আপনি লাভজনক হতে পারবেন। আপনার প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
আমরা ইতিমধ্যে বর্তমানে সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া ২০২৪ এ
সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত
হবেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টে কোন বিষয়ে বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই
কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে, যথাযথভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে
সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
বর্তমানে সময়ে ২০টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া ২০২৪ এই সম্পর্কে লেখা
আমাদের আজকের পোষ্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন। এতে অন্য যারা
২০২৪ সালে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে তারাও এই সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যবহুল নিত্য নতুন স্বাস্থ্য এবং
প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের
সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url