সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
আমরা পূর্বের একটি পোষ্টের মাধ্যমে সরকারিভাবে ফ্রিতে কিভাবে
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিবেন সেই বিষয়ে অবগত করেছি। সেই পোষ্টটি
পড়ে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার নিয়ম নিশ্চয়ই জানার আগ্রহ জাগবে।
আবার অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে আবেদন করতে হয়।
তাই আজকের ব্লগে আমরা আপনাদের সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার
নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে জানিয়ে দেব। আপনি যদি
ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিতে চা,ন তাহলে কিভাবে আবেদন করবেন সেই
নিয়ম জেনে নেওয়াটা জরুরী। তাই অবহেলা না করে আজকের পোস্টটি একেবারে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
উপস্থাপনা
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে চাকরির গল্প বিকল্প সমাধান। বর্তমান সময়ে এটি বাংলাদেশের অনেক তরুনদের মধ্যে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে বেছে নেওয়ার অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে এটি মুক্ত বা স্বাধীন পেশা। আপনি বাড়িতে বসে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সরকারের এই প্রকল্পে অনেক বেকারত্ব দূর দূর হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই
এই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ শিখে থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। যেহেতু এই
প্রকল্পে ফ্রিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশ প্রতিদিন ৫০০ টাকা ভাতা প্রদান
করা হবে তাই আবেদন অবশ্যই আবাদন করা উচিত। তাহলে চলুন, আর কথা না বাড়িয়ে
ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার নিয়ম ধাপে ধাপে জেনে নেই।
সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার নিয়ম
ধাপ ১:
প্রথমে আপনার কম্পিউটারের মজিলা ফায়ারফক্স অথবা ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে “জাতীয়
প্রশিক্ষণ বাতায়ন” লিখে সার্চ করবেন। এটা লিখে সার্চ করার পর শুরুতেই একটি
ওয়েবসাইট আসবে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২:
জাতীয় প্রশিক্ষণ বাতায়ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর দুইটি অপশন দেখতে পাবেন
প্রথমটি “নিবন্ধন করুন” এবং দ্বিতীয়টি “লগইন করুন”। আপনি যদি এই সাইটে আগে
থেকে একাউন্ট তৈরি করে থাকেন তাহলে লগইন বাটনে ক্লিক করে লগইন করে নেবেন। আর
আপনি যদি এই সাইটে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ‘নিবন্ধন করুন’ অপশনে ক্লিক
করতে হবে। কেননা, এই কোর্সের জন্য এই সাইটে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
ধাপ ৩:
এরপর আপনি এখানে তাদের কিছু শর্তাবলী দেখতে পাবেন সেগুলো ভালো করে পড়ে নিবেন
এবং তাদের সকল শর্ত একমত পোষণ করে মার্ক করা চেক বক্সে ক্লিক করে দিবেন। তারপর
“এগিয়ে যান” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৪:
এরপর নিবন্ধন করার জন্য আপনাকে তিনটে ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথম ধাপে আপনার
সক্রিয় যোগাযোগ নাম্বার দিবেন এরপর নিচের ক্যাপচাটি ভালোভাবে পূরণ করে ওটিপি
পাঠান অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ক্লিক করার পরে আপনার সেই নাম্বারে ৬
ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। সেই কোডটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে
পারলে একাউন্ট তৈরি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ধাপ ৫:
এরপর তৃতীয় ধাপে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং,
বাবা-মায়ের সঠিক তথ্য দিয়ে যাচাই করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তবে আপনার যদি
জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন দেওয়া আবেদন করা যাবে। তবে
অবশ্যই বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
ধাপ ৬:
যাচাই করুন অপশন এ ক্লিক করার পর একটা ড্যাশবোর্ড আসবে সেখানে লেখা থাকবে
ড্যাশবোর্ড তৈরির কাজ চলমান আছে শীঘ্রই পাওয়া যাবে এমন একটি নোটিফিকেশন থাকবে।
তারপর ঠিক বাম পাশে প্রোফাইল নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করতে
হবে। প্রোফাইলে প্রবেশ করার পর আপনার দেওয়া সকল তথ্য পুনরায় ভালোভাবে
যাচাই-বাছাই করে আপনার একাউন্টের সম্পূর্ণ করে নিবেন।
ধাপ ৭:
এরপর আবারো বাম পাশে এসে নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ছবি ও স্বাক্ষর দেওয়ার
দুইটি অপশন রয়েছে সেখানে আপনি ক্লিক করে আপনার ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং
স্বাক্ষর দিয়ে সেভ করে নিবেন।
ধাপ ৮:
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স-এ অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য ‘জাতীয় প্রশিক্ষণ বাতায়ন’ এই
লেখাটির উপর ক্লিক করতে হবে। সেখানে ক্লিক করার পর সামান্য একটু স্ক্রল করলেই
প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা সময়ের একটি অপশন রয়েছে সেখান থেকে “হার
পাওয়ার প্রকল্পের” উপর ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ৯:
এবার আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সকল প্রশিক্ষণ সমূহ দেখতে পাবেন। সেখান থেকে
আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন একটি কোর্সের উপর ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে।
ধাপ ১০:
পছন্দের কোর্স-এ প্রবেশ করার পর সেখানে কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো এক নজর দেখে
নিবেন। এরপর চলমান ব্যাচ অপশন থেকে আপনার বিভাগ জেলা এবং উপজেলা সিলেক্ট করে
নেওয়ার পর আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ১১:
এবার আপনার তথ্যগুলো পুনরায় ভালোভাবে চেক করে নিচের চেক বক্সটি পূরণ করে জমা
দিন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই আপনার আবেদন করার কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ
হয়ে যাবে। এরপর আপনার আবেদনটি কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে লিখিত ও
মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডেকে নেওয়া হবে। আপনি যদি সেখানে উত্তীর্ণ হতে পারেন
তাহলে এই কোর্সটি করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কিছু কথা
আশা করছি, ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে আবেদন করার নিয়ম জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আপনি যদি এই পোষ্টের কোনো অংশ বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের
মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ
চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
এই আর্টিকেলটি আপনার প্রিয়জন অথবা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে
তারাও এই বিষয়ে জানতে পেরে সরকারিভাবে আবেদন করে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং
শিখতে পারে। যারা এরকম নিত্যনতুন আপডেট তথ্য পেতে চান তারা আমাদের
ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, এতক্ষন সময় দিয়ে পোষ্টটি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url