গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়? জানুন বিস্তারিত

প্রতিটা নারীদের জীবনে গর্ভকালীন সময়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এ সময়ে সারা পরিবার নতুন সদস্যের আগমনী বার্তার অপেক্ষা করে। গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে প্রসবের শেষ পর্যন্ত পুরো সময়টা অনেক দূর্গম হয়। একজন গর্ভবতী নারীকে অনেক বিপদের সাথে মোকাবেলা করতে হয়। তেমনি একটি বিপদের নাম হচ্ছে প্রি-এক্লাম্পসিয়া (Pre-eclampsia-PE) বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা।
গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয় - গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা
গর্ভকালীন সময়ে উচ্চ রক্তচাপের জটিলতার ঘটনা বেশিরভাগ নারীরই হয়ে থাকে। তাই, আজকের পোষ্টে গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয় এবং গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আশা করছি আপনি এই বিষয়ে জেনে বেশ উপকারে আসবে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতার অবস্থায় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে না থাকেন, তাহলে এই অবস্থা আরও বেশি জটিল হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিটা গর্ভবতী নারীকেই গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়? ও গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।

প্রিয় পাঠক, গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয় ও গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা সম্পর্কে  আলোচনার করার পাশাপাশি আজকের পোষ্টে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-এক্লাম্পসিয়া কী? গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রথম ও শেষের দিকের লক্ষণ, কাদের প্রি-এক্লাম্পসিয়া হয়? গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার চিকিৎসাসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আলোচনা করেছি।

তাই অবহেলা না করে পুরো পোষ্টটি শেষ অবদি পড়তে থাকুন। তাহলে আসুন, আর কথা না বাড়িয়ে প্রথমে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ কী?? সেই সম্পর্কে জেনে নেই।

প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ কী?

গর্ভকালীন সময়ে প্রায় অধিকাংশ নারীদেরই উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা দেখা দেয়। আবার অনেকের আগে থেকেই হাই প্রেসার থাকে যা গর্ভকালীন সময়ে সেটি নিয়মিত হয়। প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাটি শুধুমাত্র গর্ভবতী নারীদেরই হয়ে থাকে। শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ নারীদের গর্ভকালীন সময়ে এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ বা ৪-৫ মাস পরে যদি কারো উচ্চ রক্তচাপের লক্ষন দেখা দেয় (এ সময় গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ ১৪০/৯০ মি.মি. অব মারকারির চেয়ে বেশি) এবং ইউরিনের সাথে প্রোটিন যায় তাহলে এই উপসর্গকে প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়? সেটি জেনে নেই।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়?

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এই বিষয়ে গুগলের কাছে জানতে চায়। তবে প্রতিটা গর্ভবতী নারীদের মধ্যে একটি প্রশ্ন বিরাজ করে যে গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়? এর উত্তরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. বিদিশা কুন্ডু প্রমা বলেছেন যে, যদিও প্রি-এক্লাম্পসিয়ার সঠিক কারণ অনুমান করাটা বেশ মুসকিল।

মনে করা হয় যে গর্ভফুলের সমস্যা হলে অর্থাৎ যে অঙ্গটি মা ও গর্ভস্থ শিশুর রক্ত প্রবাহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে প্রি-এক্লাম্পসিয়া হতে পারে। আবার অনেক ডাক্তাররা বলেন, গর্ভকালীন সময়ে খারাপ খাদ্যাভাস, জরায়ুতে রক্তপ্রবাহের অপ্রতুলতা অথবা জিনগত কারণে এটি শরীরে দেখা দেয়।

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বিশ্বাস, সুস্পষ্ট উচ্চ-রক্তচাপের সমস্যা ছাড়াও প্রোটিনের উচ্চমাত্রা থেকে এটি হতে পারে। আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রথম দিকের লক্ষণ জেনে নেই।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রথম দিকের লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রথম দিকের লক্ষণগুলো হচ্ছে-
  • হাই প্রেসার
  • ইউরিনের সাথে প্রোটিন বা আমিষ বের হয়ে যায়
সাধারনত আপনি হয়তো প্রথমদিকে বা গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রথম পর্যায়ে এই দুটি উপসর্গ এর কোনটিই সেভাবে বুঝতে পারবেন না। আপনি যখন আপনার চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত গর্ভকালীন পরীক্ষা করার সময় এগুলো লক্ষন ধরা পড়ে।

গর্ভবতীদের মধ্যে শতকরা ৫ থেকে ১৫ জনই উচ্চ রক্তচাদজনিত সমস্যায় ভোগেন। এজন্য কেবল প্রেসার হাই হলেই প্রি-এক্লাম্পসিয়া হয়েছে, এমনটা সঠিক নয়। তবে উচ্চ রক্তচাপের সাথে প্রস্রাবে প্রোটিন বা আমিষ বের হয়ে গেলে, তা অবশ্যই প্রি-এক্লাম্পসিয়াকেই নির্দেশ করে।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার শেষের দিকের লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার শেষের দিকে যেসব লক্ষন দেখা দিতে পারে সেগুলো হচ্ছে-
  • স্বাভাবিকের তুলনায় প্রচুর মাথাব্যথা
  • বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
  • অত্যাধিক বুক জ্বালাপোড়া করে
  • পাঁজরের হাড়ের নিচের অংশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
  • কখনো কখনো চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া বা ঝাপসা দেখা 
  • মানবদেহে পানি জমে যাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া
  • আবার শরীরে বিভিন্ন জায়গা (গোড়ালি, পায়ের পাতা ইত্যাদি) হঠাৎ করে ফুলে যাওয়া।

কাদের প্রি-এক্লাম্পসিয়া হয়?

সাধারনত গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে শতকরা ৫-১০% এর মৃদু প্রি-এক্লাম্পসিয়া হয়ে থাকে। আবার এর মধ্যে আর ১-২% এটি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তবে কিছু কিছু কারনবশত প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় যেমন-
  • যদি আগে গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া হয়ে থাকে
  • গর্ভধারন হওয়ার পূর্বে ডায়াবেটিস এবং কিডনী কিংবা উচ্চ রক্তচাপের রোগ থাকলে
  • এছাড়া অন্যেন্য রোগেও প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুকি বেড়ে যায় যেমন, লুপাস বা এন্টিফসফোলিপিড সিনড্রোম (Antiphospholipid syndrome) ইত্যাদি।
আবার কিছু ক্ষেত্রে আপনার প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি বেশিখতে পারে যেমন-
  • আপনার পরিবারে মা কিংবা বোনের যদি এ সমস্যা থেকে থাকে,
  • আপনার বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে,
  • বিএমআই (Body Mass Index) যদি ৩৫ বা তার অধিক হয়।
  • যমজ সন্তান অর্থাৎ গর্ভে যদি এক বা একাধিক সন্তান থাকে।
  • এখনকার গর্ভাবস্থা এবং পূর্বে গর্ভাবস্থার মধ্যে যদি কমপক্ষে ৮-১০ বছর সময় অতিক্রম হয়ে যায়।
উপরোক্ত উল্লিখিত ২ বা তার বেশি উপসর্গ একসাথে দেখা দিলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এমতবস্থায় ডাক্তার আপনাকে গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ বা প্রায় ৩ মাস থেকে সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত কম ডোজের এসপিরিন (Ashpirin) নেয়ার পরামর্শ দিতে পারে।

তবে এই মেডিসিন চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনভাবেই সেবন করা যাবেনা। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেই।

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ

আপনি যদি প্রেসার বা রক্তচাপ কমানোর মেডিসিন নিয়মিত খেয়ে থাকেন এবং সেই অবস্থায় আপনি যদি গর্ভধারণ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তার আপনার প্রয়োজন মোতাবেক আপানাকে কি মেডিসিন নিতে হবে সেটি বলে দেবেন।
সাধারনত গর্ভবতী নারীরা মেডসিন খেতে বেশ ভয়ে থাকেন যে ওষুধ সেবন করলে গর্ভস্থ সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কিনা। তবে এ সময়ে অতিরিক্ত মেডিসিন আসলেই ক্ষতি করতে পারে। তবে ডাক্তাররা যেসব ওষুধ গর্ভাকালীন সময়ে সেবন করতে দেন, সেগুলো গর্ভস্থ সন্তানের সমস্যা করে না।

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে এমন অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ (Anti-hypertensive) মেডিসিন দেয়া হয়। যেগুলো গর্ভস্থ সন্তানের কোনো সমস্যা হয় না। আশা করছি, বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার চিকিৎসা কি?

কোনো গর্ভবতী মায়ের প্রি-এক্লাম্পসিয়ায় আক্রান্ত হলে, যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে। যদি অবস্থা বেশি জটিল মনে হয় তাহলে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিতে পারে।

হাসপাতালে থাকাকালীন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আপনার বর্তমান অবস্থা কতটুকু জটিল ও হাসপাতালে আপনাকে কতদিন থাকতে হবে সেই ব্যাপারেও চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। সাধারণত সন্তান জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই প্রি-এক্লাম্পসিয়া ভালো হয়ে যায়।

তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপদে প্রসব হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে। সাধারণত গর্ভবতী মায়ের ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো যায়।

কিন্তু যদি অবস্থা জটিল দেখা দেয় তাহলে আরও আগে থেকে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার সন্তান প্রসব করানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। এছাড়া অপারেশন বা সিজারিয়ান এর মাধ্যমেও করা হতে পারে। প্রসবের আগ পর্যন্ত রক্তচাপ কমানোর জন্য ডাক্তার আপনাকে ওষুধ দিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রতিরোধে করণীয়

এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রতিরোধে করণীয় কি? গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়ার প্রতিরোধে করণীয় হচ্ছে-
  • নিয়মিত প্রেসার চেক-আপ করা
  • যেসব ব্যক্তিরা আগে থেকেই হাই প্রেসারের রোগী তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
  • ইউরিনে প্রোটিন যায় কিনা সেটি পরীক্ষা করতে হবে
  • রক্তশূন্যতা আছে কিনা সেটিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে
  • গর্ভবতী নারীর পুষ্টিসম্মত খাবার ও বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে
  • গর্ভবতী নারীর প্রতিনিয়ত চেক-আপ করার ব্যবস্থা নিতে হবে
  • হাতে-পায়ে পানি জমে আছে বা জমে কিনা তা পরীক্ষা করা ইত্যাদি।

প্রি-এক্লাম্পসিয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের কি কোনো উপসর্গ থাকে?

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার সময় গর্ভফুল অর্থাৎ যে অঙ্গটি গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ সন্তানের রক্ত চলাচলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার পরে সন্তানের শরীরে ভালোভাবে রক্ত সরবরাহ না হওয়ার কারণে গর্ভের শিশু স্বাভাবিকের তুলনায়  ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে।

সঠিক নিয়মে বেড়ে ওঠার জন্য আপনার গর্ভের শিশুর যে পরিমাণ অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তার চেয়ে কম পরিমাণে সরবরাহ হওয়ার কারণে সে ঠিকমত বেড়ে উঠতে পারে না। এমন অবস্থা দেখা দিলে, গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত পরিক্ষা নিরীক্ষার সময় এটি ধরা পড়বে।

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার কারণে কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?

যেসব গর্ভবতী মায়ের প্রি-এক্লাম্পসিয়া দেখা দেয় তাদের মাঝে একটি প্রশ্ন থেকে যায় সেটি হচ্ছে, প্রি-এক্লাম্পসিয়ার কারণে কি জটিলতা দেখা দিতে পারে? আবার অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া হলে তেমন কোন জটিল সম্মুখীন হতে হয় না।

গর্ভস্থ শিশু জন্মের পরে ভালো হয়ে যায়, তারপরও মা ও শিশুর সামান্য কিছু জটিলতা থেকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের খিঁচুনি হতে পারে, যাকে চিকিৎসকের ভাষায় ‘এক্লাম্পসিয়া’ বলা হয় এবং এটি গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর জীবনের জন্য হুমকিস্বরুপ হতে পারে। তবে এই ঘটনাটি খুবই বিরল। আশা করছি, আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন।

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার যেসব উপসর্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার লক্ষন দেখা দিলে সময়মত চিকিৎসা না করালে কিছু মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমন:
  • খিঁচুনি বা এক্লাম্পসিয়া।
  • স্ট্রোক
  • হেল্প সিনড্রোম (লিভার ও রক্তে সৃষ্ট জটিলতা) ইত্যাদি
এগুলো জটিলতা বিরল মনে হলেও, গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ শিশু উভয়ের জন্যই প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই এ সময়ে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে প্রতিটা পদক্ষেপে সচেতন হওয়া খুবই জরুরী। মা ও শিশু উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

গর্ভাবস্থায় একটু অসচেতন হওয়ার ফলে গুরুতর কোনো কিছু দেখা দিলে অবশ্যই আপনার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা জরুরি। প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো এতক্ষণে গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয়? ও গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টের কোনো অংশ বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। তাহলে, আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আবার এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

গর্ভাবস্থায় প্রি-এক্লাম্পসিয়া কেন হয় ও গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা সম্পর্কে আমাদের আজকের ব্লগটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের শেয়ার করবেন। এতে যারা উল্লিখিত বিষয়গুলো জানেন না তারাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানতে পারবেন। এরকম স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কিত টিপস পেতে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url