ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ে প্রয়োজনীয় ৫০টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর

সম্মানিত পাঠক আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় টপিক ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য আলোচনা করবো। যারা বিভিন্ন চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের পোষ্টটি অনেক উপকার হতে চলেছে। কেননা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, মেট্রোরেল নিয়ে যেকোনো ভাইবা কিংবা পরীক্ষায় প্রশ্ন একটা থাকবে এটা নিশ্চিত বলা যায়।
ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ে প্রয়োজনীয় ৫০টি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিন্তু ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নেই। বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি জন্য ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান রাখাটা খুবই জরুরী। তাই আপনি যদি ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তাহলে আপনি এই বিষয়ে ভালোমতো অবগত হতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

মেট্রো রেল একটি উচ্চ গতির সরঞ্জাম যাতাযাতকে সহায়ক করার জন্য একটি বিশেষ ধরণের ট্রেন যা সাধারণভাবে শহরের মধ্যে অথবা আসন্ন এলাকায় যাত্রীগণকে পরিবহন করে। এটি বাস, ট্রাক বা অন্য যাতাযাত উপায়ে তুলনামূলকভাবে দ্রুত হতে পারে।

মেট্রোরেল এর খরচ কত

স্টেশনসহ মোটাদাগে প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজারদরে ( প্রতি ডলার ১১০ টাকা) ১৪ কোটি ডলারের বেশি।

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নাম কি?

ঢাকা মেট্রোরেলের প্রথম রেলপথ এমআরটি লাইন-৬। বাংলাদেশের প্রথম এ দ্রুতগামী গণপরিবহন রেলপথ ২০২২ সাল থেকে সেবা প্রদান করে আসছে। এই সম্পূর্ণরূপে উড়াল রেলপথ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন বর্তমানে চালু রয়েছে।

বাংলাদেশ মেট্রোরেল কে অর্থায়ন করে

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং কোরিয়া দক্ষিণ অংশের জন্য 5.1 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে অবদান রাখবে। ঢাকার প্রথম মেট্রো লাইন MRT লাইন 6-এর উদ্বোধনী অংশটি 28 ডিসেম্বর 2022-এ খোলা হয়।

দেশের দ্বিতীয় মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম কী

এমআরটি লাইন ১ হচ্ছে নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেলের একটি রেলপথ। এটি ঢাকা মেট্রোরেলের দ্বিতীয় রেলপথ যা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) দ্বারা পরিচালিত হবে। 

মেট্রোরেল কবে উদ্বোধন করা হয়

এমআরটি-৬ লাইনের প্রথম পর্যায়ের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের চলাচলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রাটি করেন। এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেল, যা ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়।

মেট্রোরেলের স্টেশন কয়টি ও কি কি?

এ রুটের ১৭টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্ন: মেট্রোরেল এর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: এর দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের নকশা করেন কে?
উত্তর: বাংলাদেশের মেট্রোরেলের লোগোর ডিজাইনার আলী আহসান নিশান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ থেকে পাস করেছেন আলী আহসান।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালকের নাম কি?
উত্তর: মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক আফিজা

প্রশ্ন: মেট্রোরেল কোন দিন বন্ধ থাকবে?
উত্তর: শুক্রবার ঢাকা মেট্রো সার্ভিসের সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের ব্যবস্থা কি হিসেবে পরিচিত?
উত্তর: ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (Mass Rapid Transit.)

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের পরিচালনা ব্যবস্থার নাম কী
উত্তর: কমিউনিকেশন বেজড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (Communication Based Train Control System.)।

প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় কবে?
উত্তর: ২০২৬ সালের ২৬শে জুন।

প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল ট্রানজিড কোম্পানি কবে গঠিত হয়?
উত্তর: ২০১৩ সালের ৩ জুন।

প্রশ্ন:  RSTP এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: Revised Strategic Transport Plan.

প্রশ্ন:  RSTP অনুযায়ী মোট কয়টি mass rapid প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে?
উত্তর: RSTP অনুযায়ী মোট ৫টি ম্যাস র‍্যাপিড প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে

প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রতিষ্ঠানের নাম কী?
উত্তর: দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশন।

প্রশ্ন:  কোন কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে?
উত্তর: থাইল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান যার নাম হচ্ছে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক লিমিটেড এবং চায়নার সিনোহাইড্রো করপোরেশন।

প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ২১.২৬ কিলোমিটার।

প্রশ্ন: প্রথমে মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা কয়টা ছিল?
উত্তর: প্রথমে মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা ১৬ টা ছিল

প্রশ্ন: সংশোধিত প্রকল্পে বর্তমান আপডেট অনুযায়ী স্টেশন সংখ্যা হবে কতটি?
উত্তর: ১৭টি

প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্প কবে সংশোধিত ডিপিপি (DPP) অনুমোদিত হয়?
উত্তর: ২০২২ সালের ১৯ শে জুলাই।

প্রশ্ন: এমআরটি লাইন ৬ বর্তমান মেট্রোরেল হবে কোন স্টেশন পর্যন্ত?
উত্তর: উত্তরা হতে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্প প্রথমে কোন জায়গা পর্যন্ত ছিলো?
উত্তর: ঢাকা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত।

প্রশ্ন: নতুন করে মেট্রোরেল প্রকল্প কত কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে?
উত্তর: ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। 

প্রশ্ন: কোন প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে?
উত্তর: জাইকা (৭৫%) এবং বাংলাদেশ সরকার।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম খরচ ধরা হয়েছিল কত কোটি টাকা?
উত্তর: ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পের নতুন ব্যয় কত টাকা?
উত্তর: ৩৩ হাজার ৪৭১.৯৯ কোটি টাকা মাত্র।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা মোট কত টাকা দিয়েছে?
উত্তর: ১৯ হাজার ৭১৮.৪৭ কোটি টাকা মাত্র।

প্রশ্ন: এমআরটি লাইন-৬ মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদিত হয় কবে?
উত্তর: ২০১২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের রেলগুলো কোন দেশ থেকে এসেছে?
উত্তর: মেট্রোরেলের রেলগুলো এসেছে জাপান থেকে।

প্রশ্ন: প্রথম ধাপে মেট্রোরেল কোন এলাকা ও কত কিলোমিটার চালু হয়েছে?
উত্তর: ঢাকা উত্তরা থেকে আগারগাঁও অবদি ১১.৭৩ কিলোমিটার।

প্রশ্ন: মিরপুর-১০ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল প্রথম শুরু হয় কত তারিখে?
উত্তর: ২০২১ সালের ২৯ শে নভেম্বর।

প্রশ্ন: আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় কবে?
উত্তর: ২০২১ সালের ১২ই ডিসেম্বর।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয় কবে?
উত্তর: ২০২২২ সালে ২৮ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল উদ্বোধন হয় কত তারিখে?
উত্তর: ৪ নভেম্বর ২০২৩।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রথম মহিলা চালকের নাম কী?
উত্তর: মরিয়ম আফিজা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী কে ছিলেন?
উত্তর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া কত টাকা?
উত্তর: সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ ভাড়া টাকা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল-এ প্রতি কিলোমিটার কত টাকা ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে?
উত্তর: মাত্র ৫ টাকা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল এর প্রতিটি প্লাটফর্মের মোট দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর: ১৮০মিটার।

প্রশ্ন: মেট্রোরেল এর স্টেশনগুলো কয় তলা বিশিষ্ট?
উত্তর: ৩ তলা বিশিষ্ট।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ কত জন যাত্রী নিতে সক্ষম?
উত্তর: মোট ৩০৮ জন।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা কত কিলোমিটার?
উত্তর: ১০০ কিলোমিটার।

প্রশ্ন: পৃথিবীর প্রথম মেট্রোরেল কোথায় চালু হয়?
উত্তর: লন্ডন (১৮৬৩সালে)।

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ

আমাদের বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। তবে এটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার ফলে এখানে যানজট একটি অনেক বড় সমস্যা। আর সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষে সরকার মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে যতগুলো মেগা প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে মেট্রোরেল একটি। বাংলাদেশের রাজধানীকে যানজট মুক্ত করার উদ্দেশ্যেসরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

মেট্রোরেল মূলত একটি বৈদ্যুতিক যান। এই মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা মাত্র। তার মধ্যে জাইকা ৭৫% দিবে এবং বাকি টা দিবেন বাংলাদেশ সরকার। সাধারনত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এটি চলাচল করবে। এর মাঝে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পথটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। যেহেতু এটি যানজট দূর করার জন্য করা হয়েছে সেহেতু মেট্রোরেল অবশ্যই উড়ালসড়ক পথ হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন থাকবে। এই স্টেশন গুলো হলো উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ,  পল্লবী, মিরপুর-১০, আইটেমটি, ফার্মগেট, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও।

এছাড়াও রয়েছে বিজয় সরণি, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ব্যাংক রুটে স্টেশন গুলো থাকবে। প্রতিটি ট্রেনে ৬টি করে বগি থাকবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলবে ১৪টি ট্রেন। এই ট্রেনটি মূলত ১৫০০ জনের মতো যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এই ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ৯৪২ টি এবং এর পাশাপাশি ৫৭৪ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

প্রতিটি বগি হবে বেশ প্রশস্ত ও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি ট্রেন প্রতি ৪০ মিনিট অন্তর অন্তর ছাড়বে। যার গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার এবং এক স্টেশন থেকে অন্য আরেকটি স্টেশন যেতে ৩৫ মিনিট সময় লাগবে। প্রতিটি স্টেশনে আনুমানিক ৪০ সেকেন্ড করে থামবে। এই ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই ট্রেনটি মূলত ঢাকাবাসীর পাশাপাশি সকল দেশবাসীর সুবিধা কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য দ্রুত পরিবহন গামী যান হইসেবে পরিচিত।  তবে এটি শুধু ট্রাফিক সমস্যা দূর করবে না বরং বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতেও সহায়তা করবে। এমনকি অধিকাংশ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। এটি  দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

লেখকের শেষকথাঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

এই অসাধারণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে নতুন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটি যাত্রীগণকে দ্রুত, সহজ এবং কম খরচে তাদের নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে। মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীরা কারবারের ট্রাফিক ও দূরত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের বাংলাদেশের মেট্রো রেল প্রকল্প দেশের মুখ্য জনসংখ্যা ও অত্যাধুনিক বিকাশের চাপে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হিসেবে রচিত।

প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস, উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিতভাবে উপরে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা এতক্ষণে ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এই পোষ্টের কোন অংশ বুঝে না থাকেন, তাহলে এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কিত আমাদের এই পোষ্টটি আপনার যদি পছন্দ হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন। এতে অন্যরাও উল্লিখিত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। এতে তারাও উপকৃত হতে পারবেন। এ ধরণের বিভিন্ন তথ্য পেতে এবং আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url