মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ | মেট্রোরেল সম্পর্কে রচনা ও ১৫টি বাক্য জানুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকের আলোচ্য বিষয় হলো মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ, রচনা ও ১০টি বাক্য ইত্যাদি জেনে নিবো। তোমরা যদি মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই পুরো পোষ্টটি মনযোগ সহকারে পড়তে হবে।
মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ | মেট্রোরেল সম্পর্কে রচনা ও ১৫টি বাক্য জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি যদি ইতিমধ্যে মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ সন্ধান করে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা সম্পর্কে তবে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত দেখে নিন। চলুন তবে শুরু করা যাক। 
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

মেট্রোরেল এর ইতিহাস

বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোরেল হলো একটি একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকার যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

২০১৬ সালে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথমদিকে নির্মাণের জন্য ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়েছিল। জাইকা ও ডিএমটিসিএল ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন ২০৩০ সাল নাগাদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কি

মেট্রো রেল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যাত্রীগণের যাতাযাত ব্যবস্থা উন্নত করা। সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে যাত্রীদের সময় ও শ্রম বাঁচানো। পরিবহনে আরও খরচ কমানো মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীগণের পরিবহনের খরচ কমাতে সাহায্য করবে। সারা বছর ব্যাবস্থাপনা খরচের বিশাল পরিমাণ মতো টাকা বাঁচানো হবে।

পরিবেশে সুস্থতা ও সাফল্য মেট্রো রেল প্রকল্পের মাধ্যমে যাত্রীগণের পরিবেশে সুস্থতা এবং সাফল্য নিশ্চিত করা হবে। নগরে বিশাল সংখ্যক লোকের জন্য এটি একটি মানসিক সান্ত্বনা প্রদান করবে।প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যাত্রীগণের জন্য সবল সুবিধা প্রদান করা। আধুনিক ট্রেন ব্যবস্থা, কমপ্যাক্ট ডিজাইন, এবং আসন্ন প্লাটফর্ম এই সুবিধাগুলি আমাদের যাত্রীদের এই সমস্যার সমাধানে একটি নতুন পথ খুলবে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি

বাংলাদেশের মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা এবং এর পাশাপশি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করা। পরিবেশে সুস্থতা ও সাফল্য মেট্রো রেল প্রকল্পের মাধ্যমে যাত্রীগণের পরিবেশে সুস্থতা এবং সাফল্য নিশ্চিত করা হবে। নগরে বিশাল সংখ্যক লোকের জন্য এটি একটি মানসিক সান্ত্বনা প্রদান করবে। শহরের সৌন্দর্য এবং যাত্রায় অত্যধিক সুবিধা তৈরি করতে মেট্রো রেল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে।

মেট্রো রেলের মূল লাভঃ মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীগণ দ্রুত, সুরক্ষিত, ও সহজে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, যা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের স্থিতি উন্নত করবে।পরিস্থিতি উন্নত করা: মেট্রো রেল প্রকল্পের মাধ্যমে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া সহজতর হবে, যাত্রা শুরু ও শেষ করার সময় প্রয়োজনীয় সুবিধা সরবরাহ করে।

পরিবহনে খরচ কমানো: মেট্রো রেলের মাধ্যমে শহরের যাত্রীদের পরিবহনের খরচ কমানো হবে, যা মূলত মানুষের জীবনধারা উন্নত করবে।

যাত্রী সুরক্ষা ও সুবিধা: মেট্রো রেল প্রাকৃতিক আলোকপাথ, ও সহজবোধ্য যাত্রী সুরক্ষা ও সুবিধা প্রদান করতে সহায়তা করবে।

বাতাসের দূষণ কমানো: মেট্রো রেল ব্যবহারে যাত্রীদের পরিবহন বাতাসের দূষণ কমাতে সাহায্য করবে, যা পরিবেশে সুস্থতা বাড়াবে।পরিবেশে সুস্থতা মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীদের পরিবেশে সুস্থতা নিশ্চিত করা হবে, যা শহরের সামাজিক উন্নতির অংশ হবে।

ট্রাফিক সমস্যা মোকাবিলা: বাংলাদেশে যাতায়াত সমস্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। মেট্রো রেল প্রকল্পটি এই সমস্যার সমাধানে একটি নতুন পথ খুলবে। পরিবহনে খরচ কমানো মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীগণের পরিবহনের খরচ কমাতে সহায়তা করবে। সারা বছর ব্যাবস্থাপনা খরচের বিশাল পরিমাণ মতো টাকা বাঁচানো হবে।

সামাজিক উন্নতি এবং বিকাশে অবদান: বাংলাদেশের মেট্রো রেল প্রকল্প একটি সামাজিক উন্নতি এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। সবচেয়ে মানুষের জীবনধারা আরামদায়ক করে তুলতে এই প্রকল্পের অবদান অত্যধিক মূল্যবান।

মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ

আমাদের বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। তবে এটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার ফলে এখানে যানজট একটি অনেক বড় সমস্যা। আর সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষে সরকার মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে যতগুলো মেগা প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে মেট্রোরেল একটি। বাংলাদেশের রাজধানীকে যানজট মুক্ত করার উদ্দেশ্যেসরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

মেট্রোরেল মূলত একটি বৈদ্যুতিক যান। এই মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা মাত্র। তার মধ্যে জাইকা ৭৫% দিবে এবং বাকি টা দিবেন বাংলাদেশ সরকার। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এটি চলাচল করবে। এর মাঝে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পথটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। যেহেতু এটি যানজট দূর করার জন্য করা হয়েছে সেহেতু মেট্রোরেল অবশ্যই উড়ালসড়ক পথ হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন থাকবে। এই স্টেশন গুলো হলো উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ,  পল্লবী, মিরপুর-১০, আইটেমটি, ফার্মগেট, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও।

এছাড়াও রয়েছে বিজয় সরণি, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ব্যাংক রুটে স্টেশন গুলো থাকবে। প্রতিটি ট্রেনে ৬টি করে বগি থাকবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলবে ১৪টি ট্রেন। এই ট্রেনটি মূলত ১৫০০ জনের মতো যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এই ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ৯৪২ টি এবং এর পাশাপাশি ৫৭৪ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

প্রতিটি বগি হবে বেশ প্রশস্ত ও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি ট্রেন প্রতি ৪০ মিনিট অন্তর অন্তর ছাড়বে। যার গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার এবং এক স্টেশন থেকে অন্য আরেকটি স্টেশন যেতে ৩৫ মিনিট সময় লাগবে। প্রতিটি স্টেশনে আনুমানিক ৪০ সেকেন্ড করে থামবে। এই ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে ।

এই ট্রেনটি মূলত ঢাকাবাসীর পাশাপাশি সকল দেশবাসীর সুবিধা কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য দ্রুত পরিবহন গামী যান হইসেবে পরিচিত।  তবে এটি শুধু ট্রাফিক সমস্যা দূর করবে না বরং বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতেও সহায়তা করবে। এমনকি অধিকাংশ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। এটি  দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

মেট্রোরেল সম্পর্কে রচনা

বর্তমান ঢাকা মেট্রোরেল হচ্ছে সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের জনবহুল মেগা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শহর অত্যধিক ঘনবসতিপূর্ণ। ঢাকায় বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। ঢাকার ভয়াবহ যানজট ও ট্রাফিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প একটি সময়োচিত ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, ঢাকার বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনের প্রেসার সামাল দিতে একমাত্র মেট্রোরেলই হতে পারে একটি কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা। তাই ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার যানজট নিরসনে ও আধুনিকায়ন করতে মেট্রোরেল ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ভূমিকা

মেট্রোপলিটন রেল-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মেট্রোরেল। রাজধাণীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো স্পর্শ করে গণপরিবহনের জন্য প্রতিষ্ঠিত রেলব্যবস্থাই হল মেট্রোরেল। এটি মূলত একটি বিদ্যুৎচালিত পরিবহন। ঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থার প্রকল্পটির নাম 'ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট' (Mass Rapid Transit)। এটি একটি দ্রুতগামী, সুবিধাজনক, স্বাচ্ছান্দময়, ও নিরাপদ নগরকেন্দ্রিক রেলব্যবস্থা।

মেট্রোরেলের গুরুত্ব

জনবহুল ঢাকা শহরের যানজটের শহর হিসেবেই পরিচিত। এই শহরে দিন-রাত, সকাল-দুপুর-বিকাল প্রায় সবসময়ই যানজট লেগে থাকে। এখানে কার,বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, বাইক এবং রিকশা মিলে কয়েক লাখ যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে। ২-৩ ঘণ্টা আগে রওনা হয়েও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। 

যাত্রীদেররাস্তায় যানজটের কারণে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খেতে হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস, উড়াল সেতু, লিংকরোড ইত্যাদি বানিয়েছেন। কিন্তু এতেও যানজট খুব একটা নিরসন হয়নি। যার ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

কখনো কখনো সিএনজি কিংবা রিকশা চালকদের হাতেও জিম্মি হতে হয়। এমতাবস্থায় ঢাকা মেট্রোরেল চালু হলে সময়ের অপচয় যেমন হ্রাস পাবে এর পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

মেট্রোরেলের সুযোগ-সুবিধা

সাধারণ ট্রেন সার্ভিসের তুলনায় মেট্রোরেলের অনেক বেশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

উড়াল সড়ক: মূল সড়কের মাঝখান বরাবর এই উড়াল সড়ক নির্মিত হবে। এই ট্রেন মূলত উড়াল সড়কের উপর স্থাপিত রেললাইনের উপর দিয়ে চলবে । যানজট যাতে না পড়তে হয়, সেই অনুপাতেই উড়াল সড়ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য: রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০.১ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ রুটে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। এগুলোর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে থাকবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশন। এগুলো হচ্ছে উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, কাজীপাড়া, উত্তরা সাউথ, পল্লবী, মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁও।

দ্বিতীয় পর্যায়ের দিকে থাকবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ৭টি স্টেশন। এগুলো হচ্ছে বিজয় সরণি, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি), ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল শাপলা চত্বর।

বগি ও কামরা: প্রতিটি ট্রেনে মোট ৬টি করে বগি থাকবে। প্রতিটি কামরা হবে সুপরিসর। সেখানে সকল যাত্রীদের জন্য থাকবে আরামদায়ক আসন। এছাড়া প্রতিটি কামরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে।

ট্রেন সংখ্যা ও সময়: উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচল করবে টোটাল ১৪টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে ৯৪২ জন যাত্রী বসতে পারবে এবং ৭৫৪ জন দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে পারবে। প্রতি ৪ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন ছেড়ে যাবে। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় প্রায় ৩২ কিলোমিটার। শেষ গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেনের সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। প্রতি স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড।

যাত্রী বহন ক্ষমতা ও ভাড়া আদায়: মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে দুই প্রান্তের ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে। মেট্রোরেলের ভাড়া জনপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটার ৫টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ২০ টাকা। এছাড়াও মেট্রোরেল ব্যবস্থায় সকল যাত্রীদের সুবিধার জন্য স্টেশনে প্রবেশের সময় মেশিনে ভাড়া কালেক্ট করা হবে। যাত্রীরা তাদের স্বয়ংক্রিয় কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করবেন।

প্রকল্প ব্যয় ও অর্থায়ন

মেট্রোরেল বাস্তবায়নে পুরো ২০.০১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্যয় ধরা হয়েছিল মোট ২১, ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা প্রকল্পের ৮৫% ব্যয় বাবদ ১৬, ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেবে কয়েক ধাপে। বাকি ৫ হাজার ৪ কোটি টাকা দেশের সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

মতিঝিল হতে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.১৬ কি.মি. বাড়ানোর কারণে প্রকল্প ব্যয় ১১, ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার ফলে মোট এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে মোট ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

নির্মাণকাজের অগ্রগতি

মূলত ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার উদ্দেশ্য থাকলেও ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ২০২৩ সালের মধ্যে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৪ সালের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত শেষ করা হয়েছে।

গতিশীল অর্থনীতি ও সহজ যাতায়াত

বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশের রাজধানী শহরে যানজট নিরসন করার জন্য কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। তাদের তত্ত্বাবধানেই বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। 

উপসংহার

অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের প্রথম এবং প্রধান শর্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে মেট্রোরেল। যা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে চলাচলের ক্ষেত্রে এটি হবে একটি মাইলফলক। আর এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষের অর্থ এবং সময়ের অপচয় বন্ধ হবে। 

মেট্রোরেল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে চায়। তাই আমরা পোষ্টের এই অংশে এই মেট্রোরেল সম্পর্কে দশটি বাক্য তুলে ধরেছি। আপনারা এই অংশের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
  • ২০২২ সালে বাংলাদেশে মেট্রোরেল হচ্ছে দেশের ২য় বৃহত্তর প্রজেক্ট।
  • ২০১৬ সালের ২৬ জুন ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ উদ্ধোবন করা হয়।
  • ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্ধোবন করা হয়।
  • ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট বাজেট প্রায় ৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা।
  • মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক ছিলেন মরিয়ম আফিজ।
  • প্রাথমিক মেট্রোরেল এর সংখ্যা হলো ২৪ এবং স্টেশন সংখ্যা ১৬ টি।
  • মেট্রোরেলের সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে “এমআরটি”।
  • ঢাকার সবচেয়ে দ্রুতগামী পরিবহন মাধ্যম হচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেল। 
  • বাংলাদেশে যানজট কমানোর লক্ষ্যে প্রথম ঢাকা মেট্রোরেল চালু করা হয়।
  • মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ জোগন দেওয়ার জন্য মোট ৫টি উপকেন্দ্র রয়েছে।
  • ২০৩০ সাল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ কার্যক্রম সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • ঢাকা মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী বহন করতে পারে। 
  • মেট্রোরেল গুলোতে ট্রেন ঘন ঘন চলাচল করে, যা মূলত যানজট কমাতে বেশ সাহায্য করে।
  • রাজধানী ঢাকা মেট্রো রেলটির নির্মাণ কাজ ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়ন করেছে।
  • ঢাকা মেট্রোরেল হচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানীর একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা।

মেট্রোরেল সম্পর্কে ১৫ টি ইংরেজি বাক্য 

  1. In 2022, Metrorail in Bangladesh is the 2nd largest project in the country.
  2. On June 26, 2016, the work of Dhaka Metrorail project was inaugurated.
  3. Metrorail was inaugurated on 28 December 2022.
  4. The total budget of Dhaka Metrorail project is about Tk 33,471.99 crore.
  5. Maryam Afiz was the first woman driver of Metrorail.
  6. The number of primary metrorail is 24 and the number of stations is 16.
  7. The abbreviation of Metrorail is “MRT”.
  8. Dhaka Metrorail is the fastest mode of transport in Dhaka.
  9. The first Dhaka Metrorail was launched to reduce traffic congestion in Bangladesh.
  10. Metrorail has a total of 5 substations to supply power.
  11. Dhaka Metrorail's full operation period has been fixed till 2030.
  12. Each train of Dhaka Metrorail can carry a maximum of 2,308 passengers.
  13. Metrorails have frequent trains, which helps in reducing congestion.
  14. Dhaka Mass Rapid Transit Company Limited has implemented the construction of the capital Dhaka Metro Rail.
  15. A fast public transport system in our Bangladesh capital Dhaka is called Dhaka Metrorail.

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে রচনা

এই অসাধারণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে নতুন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটি যাত্রীগণকে দ্রুত, সহজ এবং কম খরচে তাদের নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে। মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাত্রীরা কারবারের ট্রাফিক ও দূরত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের বাংলাদেশের মেট্রো রেল প্রকল্প দেশের মুখ্য জনসংখ্যা ও অত্যাধুনিক বিকাশের চাপে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হিসেবে রচিত।

প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে মেট্রোরেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ, রচনা ও ১৫টি বাক্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিতভাবে উপরে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা এতক্ষণে মেট্রোরেল এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। আপনি যদি কোন অংশ বুঝে না থাকেন, তাহলে এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। তাহলে আমরা সেই মোতাবেক আপনাকে বুঝিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।

ঢাকা মেট্রোরেল সম্পর্কিত আমাদের এই পোষ্টটি আপনার যদি পছন্দ হয়ে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন। এতে অন্যরাও উল্লিখিত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। এতে তারাও উপকৃত হতে পারবেন। এ ধরণের বিভিন্ন তথ্য পেতে এবং আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url