আমাদের বিদ্যালয় রচনা | Class: 3,4,5,6,7,8,9 সহজ ভাষায়
প্রিয় শিক্ষার্থী আমরা তোমাদের জন্য তৃতীয় শ্রেণি থেকে একেবারে দশম
শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয় রচনা উল্লেখ করেছি। তো তোমরা
কি আমাদের বিদ্যালয় সহজ ভাষায় রচনা জানতে চাচ্ছ? তাহলে তুমি
গুগলে সার্চ করে এখন সঠিক ওয়েবসাইটেই এসেছো। তোমরা চাইলে আমাদের এই পোষ্টের
মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয় রচনাটি পড়ে এবং লিখে নিতে পারো।
প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা নীচে আমরা তোমাদের জন্য আমাদের বিদ্যালয় রচনা শেয়ার করেছি। আপনারা যারা এই রচনাটি পড়তে চান তারা চাইলে অবশ্যই পড়ে নিবেন। এছাড়াও আপনার অন্য কোন প্রিয় রচনা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা সেটাও এখানে সংগ্রহ এবং সংযুক্ত করার চেষ্টা করব। এই রচনাটি আপনারা Class 3,4,5,6,7,8,9 সকল ক্লাসের জন্য শিখতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ৩য় শ্রেণি
সূচনা:
আমাদের স্কুলের নাম রাণীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ স্কুলটি রাজশাহী শহরে
অবস্থিত। এর উত্তর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত এবং পশ্চিম দিকে রুয়েটে
চলাচলের জন্য বিশ্বরোড অবস্থিত।
বর্ণনা:
একটি আমাদের ক্লাস দালানের নিচ তলায় বসে থাকে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের
ঘর, লাইব্রেরি, শিক্ষকদের বিশ্রাম অফিস ঘর বিজ্ঞানাগার সব আছে। আমাদের স্কুলে
প্রথম শ্রেণি হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আছে। প্রত্যেক শ্রেণিতে আবার দুটি করে
শাখা বিদ্যামান আছে। আমাদের স্কুলে দুইশত এর অধিক ছাত্র আছে। আমাদের স্কুলে মোট
১২ জন শিক্ষক আছেন।
তাঁরা সকলেই সুশিক্ষিত ও খুবই স্নেহপরায়ণ। তাঁরা ছাত্রদেরকে যত্নের সাথে শিক্ষা
এবং তারা অনেক ভালোবাসেন। আমাদের স্কুলে একটি ছোট্ট লাইব্রেরি আছে, এ লাইব্রেরিতে
বিভিন্ন ধরণের উপকারি পুস্তক আছে এবং এখানে কয়েকটি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকা রাখা
হয়। আমরা সকলেই প্রতি সপ্তাহে লাইব্রেরি থেকে গল্পের বই নিয়ে পড়ি। এছাড়াও
আমাদের স্কুলে একটি খেলার মাঠ আছে। সেই মাঠটিতে ছুটির পর ক্রিকেট, ফুটবল হকি
প্রভৃতি খেলা হয় ৷
পরীক্ষায় সাফল্য:
আমাদের স্কুল থেকে প্রতিবছর বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রী পাঠানো হয় এবং
তারা অধিকাংশই ভালোভাবে পাস করে থাকে। বিগত কয়েক বছর থেকে আমাদের বিদ্যালয় থেকে
৩-৫ জন করে বৃত্তি পেয়ে আসছে। এটা আমাদের স্কুলের পক্ষে অত্যন্ত কৃতিত্বের
বিষয়।
উপসংহার:
আমাদের বিদ্যালয়টি উপযুক্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা যদি সব দিক
দিয়ে বিচার করি তাহলে একে একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলা চলে। তাই আমরা আমাদের
বিদ্যালয়কে অনেক ভালোবাসি এবং এর জন্য আমরা সকলেই গর্ববোধ করি।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি
সূচনা:
সত্যিকার মানুষ হতে হলে সবাইকে লেখাপড়া করতে হয়। লেখাপড়া যারা করতে আসে
তাদেরকে ছাত্র বলা হয়। ছাত্ররা যেখানে লেখাপড়া শিখে, সেই স্থানকে বিদ্যালয় বলা
হয়। আমি যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি, তার নাম মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। এটি
কিশোরগঞ্জ জেলার একটি আদর্শ ও সুখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পরিবেশ:
আমাদের বিদ্যালয়টি গ্রামের একমাত্র জনৈক ধনাঢ্য ব্যক্তির আর্থিক
অনুদানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এরপর এটি সরকারিকরণ করা হয়েছিল। চারিদিকে খোলা
এবং দক্ষিণ পাশ দিয়ে একটি খাল বয়ে গেছে। আমাদের বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে
বিশাল একটি মাঠ। সেখানে আমরা টিফিন টাইমে এবং বিকালে খেলাধুলা করি। এছাড়াও
বিদ্যালয়ের একপাশে বেশ কয়েকটি নারিকেল আর সুপারির বাগান আছে । প্রধান শিক্ষকের
কক্ষের সামনে সুন্দর একটি ফুলের বাগান রয়েছে।
বিদ্যালয় গৃহের বর্ণনা:
আমাদের বিদ্যালয়টি দুই তলাবিশিষ্ট অনেকটা ‘এল’ আকৃতির পাকা ভবন। নিচ তলায়
রয়েছে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের কক্ষ। আর উপরের তলায় প্রথম শ্রেণি থেকে
পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। দোতলায় একটি লাইব্রেরি রয়েছে যেটি
পূর্ব পাশে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি মূলত উত্তরমুখী।
ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা:
আমাদের বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকসহ মোট নয়জন শিক্ষক-শিক্ষিকা
আছেন। ছাত্রসংখ্যা মোট সাত শ’ জন। প্রতিটা শ্রেণিতে একাধিক শাখা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই সৎ, পরিশ্রমী ও উচ্চ শিক্ষিত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা
দানের পাশাপাশি আচার-ব্যবহার এবং আদব-কায়দা শেখানোর বিষয়েও তারা খুবই
যত্নবান। আমরা সকলেই অন্তর দিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা করি। আমাদের প্রধান শিক্ষক একই
সঙ্গে দক্ষ পরিচালক। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় আমাদের বিদ্যালয়ের সুনাম দিন দিন
বেড়েই চলেছে।
সহপাঠ কার্যক্রম:
বিদ্যালয়ের শিক্ষকগ লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের চরিত্র গঠন এর পাশাপাশি আমাদের
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বদা সচেষ্ট। এছাড়া এখানে কবিতা আবৃত্তি,
নাচ, গান, বিতর্ক ইত্যাদির চর্চাও করা হয়। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান
উদযাপিত করা হয়।
বিদ্যালয়ের ফলাফল:
আমাদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়ে থাকে। এছাড়াও
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বৃত্তি পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন বৃত্তি পেয়ে আসছে।
উপসংহার:
লেখাপড়া ও খেলাধুলার দিক দিয়ে আমাদের বিদ্যালয় সারাদেশের মধ্যে একটি আদর্শ
বিদ্যালয় হিসেবে ধরা হয়। তাই আমরা আমাদের বিদ্যালয়কে অনেক ভালোবাসি এবং এর
উন্নতি কামনা করি।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা class 6, 7, 8 , 9
সূচনা:
ছাত্রজীবনের জ্ঞানার্জনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই জীবন
ও জগতকে চিনতে পারা যায় এবং নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারা যায়। আর এই
শিক্ষার মাধ্যমে সুন্দর, সার্থক ও পূর্ণাঙ্গ জীবনের পথপ্রদর্শন করতে সাহায্য
করে বিদ্যালয়। আমি এরূপ একটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করি। আমাদের অঞ্চলের মধ্যে এই
বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ ও বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠা:
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে বীণাপাণি সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়টি গোপালগঞ্জ জেলার সদর অঞ্চলে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি ১৯৩০ সালে
স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এবং আদর্শ হিসেবে বিদ্যালয়টির যথেষ্ট সুনাম আছে।
অবস্থান:
আমাদের এই বিদ্যালয়টি শহরের একদম মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি শহরের
৪নং ওয়ার্ড এর সাথে অন্তর্গত। এছাড়াও আমাদের বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে
মধুমতী নদী বয়ে গেছে।
বিদ্যালয়গৃহের বর্ণনা:
আমাদের বিদ্যালয়টি তিন তলা ভবন বিশিষ্ট। সেখানে সর্বমোট ২০টি কক্ষ রয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এছাড়া অন্য
কক্ষগুলোর মধ্যে ২ টি সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের কক্ষ, একটি প্রধান শিক্ষকের
কক্ষ, একটি অফিস ও একটি কক্ষ পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ছাত্রী ও শিক্ষক সংখ্যা:
আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা
২০ জন। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রীরা একে অপরের সাথে নিজের বোনের মতো আচরণ
করে। শিক্ষিক- শিক্ষিকাগণও আমাদের প্রতি সবসময় বিশেষ খেয়াল রাখেন।
লেখাপড়ার পদ্ধতি:
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতি বছর অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ
ছাড়া প্রতি সপ্তাহে ও মাসে ২-৩ টা ক্লাস টেষ্ট নেওয়া হয়। বছরের শেষে ৩টি
পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় হিসেবে ফলাফল প্রকাশিত হয়।
খেলাধুলা ও অনুষ্ঠানাদি:
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। বিদ্যালয় ছুটির পর মৌসুম অনুযায়ী
ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলা হয়। বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান হয় । তা ছাড়া বছরান্তে পরীক্ষার পর আমরাও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের
সঙ্গে বনভোজনে আনন্দ করি। জাতীয় দিবসগুলোও আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন
করি।
পরীক্ষার ফলাফল:
লেখাপড়ার মান ও ফলাফলের দিক দিয়ে বিদ্যালয়টির নাম আমাদের জেলার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
দীর্ঘদিন সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে।
বৈশিষ্ট্য:
আমাদের বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত খেলার মাঠ, সুন্দর স্কুলঘর, লাইব্রেরি, অফিসকক্ষ,
শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী এবং মনোরম পরিবেশ অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে পৃথক
বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। এ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিক থেকে যথেষ্ট
সুনাম রয়েছে। তাছাড়া পড়াশুনার প্রতি উৎসাহী করে তুলতে মেধাবী ছাত্রীদের
পুরস্কৃত করা হয়।
উপসংহার:
আমাদের বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা এজন্যে গর্ব অনুভব করি।
এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করি।
লেখকের শেষকথাঃ আমাদের বিদ্যালয় রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমরা ইতিমধ্যে আমাদের বিদ্যালয় রচনা (Class:
3,4,5,6,7,8,9 সহজ ভাষায়) বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, তোমরা ভালোমতো
জেনে নিতে পেরেছেন। তোমাদের যদি এই পোষ্টের কোনো অংশ বুঝেতে না পারেন, তাহলে
অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবে। তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার
চেষ্টা করব।
আমাদের বিদ্যালয় রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তোমাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই
তোমার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই সম্পর্কে
বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। বিভিন্ন শিক্ষা তথ্য ও ইসলামিক তথ্য
সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারো।
ধন্যবাদ।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url